• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০১৯, ১০:৫৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০১৯, ১১:০০ এএম

‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা নিহত

‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা  নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল হতে দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৯টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। 

নিহতরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডুর সব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ ও একই জেলার রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদু শুক্কুর। তারা উভয়ে বর্তমানে টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।  

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ফারুকে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে  অবস্থান করছে এমন সংবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাশেল আহমদ শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। সন্ত্রাসীদের ছোরা গুলিতে পুলিশের এসআই মনসুর, এএসআই জামাল ও কনস্টেবল লিটন গুলিবিদ্ধ হন। 
একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের গভীরের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ ও আবদু শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৯টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসাও উদ্ধার হয়।

ওসি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ শাহ ও শুক্কুরকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। শনিবার ভোরে তাহাদের নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।  ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করাহচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। 

উল্লেখ্য, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার আব্দুল মুনাফ সওদাগরের ছেলে ও হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগ ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং জাদিমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক (২৪) কে জাদিমুরা এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তুলে নিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগ নেতা ওমর হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার সড়কে নেমে এসেছে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো স্থানীয় জনতা। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন