• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম

আলোচিত সেই ‘টাইগারের’ জন্য কান্না!

আলোচিত সেই ‘টাইগারের’ জন্য কান্না!
৪২ মণ ওজনের আলোচিত গরু ‘টাইগার’ - ছবি : জাগরণ

কোরবানির হাটে ৩০ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়ে সারা দেশে আলোচনায় আসা ৪২ মণ ওজনের সেই আলোচিত ষাঁড় গরু ‘টাইগার’কে অবশেষে জবাই করে তার গোশত বিক্রি করা হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে গোয়ালঘরে পা পিছলে দুই পা ভেঙে যায় টাইগারের। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে গরুটি। এতে বিমর্ষ হয়ে পড়েন টাইগারের মালিক মিনারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা। ধরে রাখতে পারেননি চোখের পানি।

পরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছুটা লোকসান ঠেকাতে প্রিয় ষাঁড়টি জবাই করতে বাধ্য হন মিনারুল ইসলাম। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে টাইগারের গোশত বিক্রি করা হয়। এ খবর শুনে মিনারুলের বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। প্রিয় গরুটির জন্য স্বজন, গরু লালন-পালনকারী শ্রমিকসহ উপস্থিত মানুষের অনেকের চোখই ছিল অশ্রুসজল।

শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সরেজমিনে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছোট গুয়াখড়া গ্রামের মিনারুল ইসলামের বাড়িতে দেখা যায়, টাইগারকে জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছেন কসাইরা। সেখানে ভিড় জমেছে হাজারো উৎসুক মানুষের। তারা যেন শেষবারের মতো টাইগারকে দেখছেন। উপস্থিত সবারই মন ছিল বিষণ্ন। খামারি মিনারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানার চোখ ছিল অশ্রুসজল।

ষাঁড়টির মালিক মিনারুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল চারটার দিকে গোয়ালঘরে পা পিছলে পড়ে যায় টাইগার। এতে পেছন ও সামনের ডান পা দুটি ভেঙে যায়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে টাইগার। পরে স্বজন ও প্রতিবেশী সবার পরামর্শে জবাই করে গোশত বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মিনারুল ও তার স্ত্রী জাকিয়া বলেন, টাইগারকে সন্তানের মতো লালন-পালন করতাম। তাকে এভাবে হারাতে হবে বুঝতে পারিনি। খুব কষ্ট হচ্ছে। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল।

শনিবার রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগারের গোশত বিক্রি চলছিল। ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে গোশত কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর ক্রেতার সমাগম ঘটেছে। সবার ধারণা, সব মিলিয়ে ২৫-২৬ মণ গোশত হতে পারে টাইগারের। সে হিসেবে দাম আসবে ৫ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, ৯ ফুট দৈর্ঘ্য আর সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির ওজন হয়েছিল ৪২ মণ। কালো আর সাদা রং মিশ্রিত সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী গরুটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘টাইগার’। কোরবানির আগে টাইগারের দাম ৩০ লাখ টাকা হেঁকে আলোচনায় আসেন খামারি মিনারুল ইসলাম।

এ বছর ঢাকার মোহাম্মদপুরে ঈদুল আজহার হাটে টাইগারের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ১৮ লাখ টাকা। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন খামারি মিনারুল। ইচ্ছা ছিল আরো এক বছর লালন-পালনের পর আগামী ঈদুল আজহায় টাইগারকে বিক্রি করা। কিন্তু তার সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না। অনেক টাকা লোকসান হলো বলে দাবি মিনারুলের।

এনআই

আরও পড়ুন