গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুস ছোবাহান মুন্সীর মিলছে না বয়স্ক ভাতা। অসহায় হত দরিদ্র মানুষটি আজ বয়সের ভারে শয্যাশায়ী। পারিবারিক জীবনে ৩ ছেলে ৫ মেয়ে সন্তানের বাবা। স্ত্রী ১৫ বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
ছেলে মেয়ে এবং নাতিরা তার খোঁজ খবর রাখছেন। এ বয়সে কথা না বলতে পারলেও ফিস ফিস করে বললেন জনপ্রতিনিধিদের কথা। তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের টাকা না দিলে ভাগ্যে জোটে না ভাতার কার্ড।
তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জীবনপুর গ্রামের মৃত-খাঁন মাহমুদ মুন্সীর ছেলে। এ সম্পর্কে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুন্সী রেজুওয়ানুর রহমান বলেন, জেলার সবচেয়ে বয়সে প্রবীণ ব্যক্তির এই পরিবারটি আওয়ামী লীগের পরিবার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বয়স্ক ভাতা থেকে এ প্রবীণ ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এ পরিবারটির দাবি অনেক চেয়ারম্যান, মেম্বারকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও তারা সরকারের কোন সহযোগিতা পায় না। ভাতা কার্ডের কথা চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে বললে টাকার বিষয় আসে। তবে টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে ভাতার কার্ড নিতে চান না প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুস ছোবাহান মুন্সী।
তবে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি প্রবীণ এ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতা কার্ডের আওতায় নিয়ে আসার জন্য উপজেলা ও জেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কেএসটি