• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০১:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০১:০৮ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি দমনে তৎপর র‌্যাব-৮, দুই বছরে গ্রেফতার ১৭

দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি দমনে তৎপর র‌্যাব-৮, দুই বছরে গ্রেফতার ১৭

দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি দমনে বেশ তৎপর র‌্যাব-৮। তাদের সতর্ক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চল থেকে পুরোপুরি নিষ্ক্রীয়র পথে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের কার্যক্রম। এরই মধ্যে র‌্যাবের তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছে ১৭ জন জেএমবি সদস্য। যাদের মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার উল্লাহ টিমের সদস্যও।

সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

জানাগেছে, দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও নারী-শিশু নির্যাতনসহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে কাজ করছে র‌্যাব-৮। বিশেষ করে তাদের তৎপরতায় অনেকটাই জলদস্যু এবং বনদস্যু শূন্য হয়ে পড়েছে সুন্দরবন। বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু এবং বনদস্যু নিহত হওয়া ছাড়াও এযাবৎ আত্মসমর্পণ করেছে একাধিক দস্যু বাহিনী।

এদিকে, জলদুস্যুর ন্যায়, দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গি দমনেও বেশ তৎপর র‌্যাব-৮। তাদের তৎপরতার কারণে জঙ্গি দমনে বেশ সফলতাও এসেছে এরই মধ্যে। যে কারণে কোন প্রকার মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরাপড়ে র‌্যাবের ফাঁদে।

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের তৎপরতা লক্ষণীয় হলেও প্রশাসনের অন্য কোন সংস্থার জঙ্গি দমন তৎপরতা চোখে পড়ার মতো নয়।

র‌্যাব-৮ এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জঙ্গি বিরোধী অভিযোগের তাদের সর্বশেষ সফলতা ছিল ঢাকা থেকে দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার। ধানমন্ডি ও খিলগাঁও এলাকা থেকে মো. আব্দুল্লাহ শরীফ (৩২) ও জাকির হোসেন (৩১) নামের দুই সক্রিয় জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ফরিদপুরের নগরকান্দা থানাধীন জুঙ্গুরদী গ্রামের মৃত ফিরোজ শরীফের ছেলে এবং জাকির হোসেন বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে।

র‌্যাব জানিয়েছে, ‘বর্তমান সময়ে জঙ্গি/উগ্রপন্থী গোষ্ঠীসমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যাতে পুনরায় সংগঠিত না হতে পারে সে জন্য এলিট ফোর্স র‌্যাব-৮ জাগ্রত। তারা তাদের শক্তিশালী এবং চৌকশ গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় একের পর এক জঙ্গি বা উগ্রপন্থীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছে।

র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘জঙ্গি এবং উগ্রপন্থী শুধু র‌্যাব বা প্রশাসনের একার সমস্যা নয়, এটা গোটা জাতির সমস্যা। তাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৮ সবসময় তৎপর। জঙ্গিরা যাতে পূর্বের ন্যায় সংগঠিত না হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গত দু’বছরে ১৭ জেএমবি সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করেছি।

তিনি বলেন, ‘সংগঠিত নয়, বরং জেএমবি সদস্যরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করছে। তাদের সন্দেহ হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বরং আমারা তাদের দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণ এবং গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখছি। যখন মনে হচ্ছে সন্দিগ্ধ ব্যক্তি সত্যিকারের জেএমবি সদস্য তখনই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলে জঙ্গিদের ঘাঁটি রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘাটি নয়, তবে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে যতটুকু লক্ষ্য করেছি তাতে এখন পর্যন্ত যেসব জঙ্গি বা উগ্রপন্থি গ্রেফতার হয়েছে তার মধ্যে বরগুনা ও ভোলা জেলার বাসিন্দাই বেশি। এরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তবে এ অঞ্চলে জঙ্গি বা উগ্রপন্থিদের মাথাচারা দেয়ে ওঠার কোন সুযোগ নেই। জঙ্গি ও উগ্রপন্থি দমনে র‌্যাব-৮ এর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৮ এর ওই কর্মকর্তা।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন