• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০২:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০২:৫৮ পিএম

প্রবল স্রোত ও ফেরি বিকল

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ির দীর্ঘ লাইন 

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ির দীর্ঘ লাইন 

নাব্য সংকটে কাঁঠালিয়া-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে দু’পারে ৫ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজটের কারণে পুলিশ পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোকে উথলী সংযোগ মোড় থেকে আটকিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচার দিকে রাস্তার উপর দাড় করিয়ে রাখছে। এতে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাস্তার ওপর তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ট্রাকের সারি দেখা যায়। ফলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উথলী থেকে আরিচার মধ্যে চলাচলকারী যানবাহন চলাচলে ভিশন অসুবিধা হচ্ছে। অরিচায় বড় বড় দুটি ট্রাক টার্মিনাল খালি পড়ে রয়েছে উক্ত ট্রাকগুলো সেখানে রাখলে যানবাহন চলাচলে কোন সমস্যা হতো না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।  

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, একদিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালিয়া নৌরুটের যানবাহনের চাপ অপরদিকে নদীতে প্রবল স্রোতে এবং ঘন ঘন ফেরি বিকল হওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দু’পারেই সৃষ্টি হয়েছে যানজট। 

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে গত রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ওই রুটে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ট্রাকসহ ওই রুটের সকল ধরনের যানবাহন দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়ার জন্য আসতে শুরু করেছে। এতে এ রুটে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। রোববার দুপুরের পর থেকে বাস ও ট্রাকের সারি পাটুরিয়া প্রান্তে দুই সাড়িতে ২ কিলোমিটার এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। 

বিআইডব্লিউটিসি’র স্থানীয় ডকইয়ার্ড ভাসমান কারখানার সহকারী প্রকৌশলী সুবল বাবু জানান, নদীতে অত্যাধিক স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ফেরিগুলো ইঞ্জিনের পুরো শক্তি ব্যবহার করে স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে প্রতিদিনই দু’একটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে চলাচলরত ছোট বড় মোট ১৬টি ফেরি মধ্যে ১৩টি চলাচল করছে। রো-রো ফেরি খানজাহান আলী, ইউটিলিটি ফেরি সন্ধ্যা মালতি এবং চন্দ্র মল্লিকা স্থানীয় ডকইয়র্ডে মেরামতে রয়েছে। এমতবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন