• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৬, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম

সম্রাটের অফিস থেকে মদ-ইয়াবা উদ্ধার

সম্রাটের অফিস থেকে মদ-ইয়াবা উদ্ধার
মদ, ইয়াবা, বন্য প্রাণির চামড়া, যন্ত্রপাতি ও নথিপত্র জব্দ করা হয় -ছবি : টিভি থেকে নেয়া

যুবলীগ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের কাকরাইলের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, বন্য প্রাণির চামড়া, যন্ত্রপাতি ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর)  সাড়ে ৫ ঘণ্টার অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার এসব তথ্য জানান।

র‍্যাব জানায়, সম্রাটের অফিসে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিয়ার, ওয়াইন-সহ নানান ব্রান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১১৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। তবে এসব ডিভাইস ঠিক কী কাজে ব্যবহৃত হতো তা জানতে তদন্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

সম্রাটের অফিসের বিশ্রাম কক্ষ থেকে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সাথে গুলি ও ম্যাগাজিন আছে।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, সম্রাটের স্ত্রী রাতে কার্যালয়ে ছিল। সে ভোরে চলে গেছে। তাকে খোঁজা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে কোনও সম্পদ থাকলে সেগুলো নিয়ে স্ত্রী সরে গেছে।

অভিযান শেষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, সম্রাটের কার্যালয় থেকে ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি ও দুটি ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ক্যাঙারুর চামড়া পাওয়ায় বন্য প্রাণী আইনে মামলা হতে পারে। এই আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেয়ার বিধান রয়েছে। এরই মধ্যে ছয় মাসের কারাদণ্ড  দেয়া হয়েছে। 

রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও যুবলীগের আরেক নেতা এনামুল হক আরমানকে আটক করে র‍্যাব। সেখান থেকে তাদের দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে অভিযানে বের হয় র‍্যাব।

বেলা সোয়া একটার দিকে সম্রাটকে কাকরাইলের কার্যালয়ে নেয়া হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সমাট্রকে বসিয়ে রেখেছে র‌্যাব।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করে র‍্যাব। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতারাই মূলত এই ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র‍্যাব।

এরপরই গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্লাবটির সভাপতি খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট।

এসএমএম

আরও পড়ুন