• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৯:১৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৯:১৫ এএম

ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে পকেটমার ও ছিনতাই আতঙ্ক

ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে পকেটমার ও ছিনতাই আতঙ্ক

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। গত ৬ মাসে শতাধিক পকেটমার ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। 

ট্রেনে উঠানামার সময় বেশির ভাগ যাত্রী ছিনতাইয়ের শিকার হন। স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। চিহ্নিত এসব ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে এক ছিনতাইকারীর চাপাতির কোপে আশরাফুল আলম রিয়াদ নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুরে নিজ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্টেশনের ৫নং প্লাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ তিনজন ছিনতাইকারী চাপাতি দিয়ে তার মাথা ও পায়ে আঘাত করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

রফিক মজিদ নামে শেরপুরের একজন সাংবাদিক জানান, সম্প্রতি সাংবাদিক কাকন রেজার ছেলে ফাগুন এ স্টেশনে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছে। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে দামি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়।

অনূর্ধ্ব ১৫ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র জানান, তার গ্রামের বাড়ি ধোবাউড়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠার সময় ব্যাগ থেকে তার স্মার্ট ফোনটি ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। 

সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন খসরু জানান, সম্প্রতি তার ভাইকে ট্রেনে উঠিয়ে দেয়ার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা স্মার্ট ফোনটি ছিনতাই হয়। এছাড়া ফুলপুর ফরহাদ ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক ও মানবাধিকার নেতা হযরত আহমেদ সাকিব সম্প্রতি পকেটমারের শিকার হন। 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন কালাম বলেন, ময়মনসিংহ রেলস্টেনে চুরি, ছিনতাই, পকেটমার ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। রেলওয়ে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। 

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, দুইশ কিলোমিটার রেল এলাকায় অফিসার ও কনস্টেবলসহ ৩৬ জন জনবল কাজ করছে। আন্তঃনগর ৪টি ট্রেনে প্রতিদিন ১২ জন ডিউটি করে। পকেটমার ও ছিনতাইকারীরা সকলেই ময়মনসিংহের আশপাশের। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ১৫-২০ জন ছিনতাইকারী ও পকেটমার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন