• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৩:৫৫ পিএম

কামাল মজুমদারের প্রচারকেন্দ্রে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ১০

কামাল মজুমদারের প্রচারকেন্দ্রে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ১০
ভাঙচুর হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস; ছবি- দৈনিক জাগরণ

 

রাজধানীর মিরপুরে মোল্লা পাড়ায় ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল মজুমদারের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-১৫ আসনের মিরপুর মোল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মোল্লাপাড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী সরাফত আলী।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির রাতে জাগরণকে জানিয়েছিলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে এক দল দুর্বৃত্তরা ঢাকা-১৫ আসনের মোল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করে। হামলার সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে ঘটনায় কোনো হতাহত হয়েছে কি না তা জানা যাবে।'

ওসি বুধবার দুপুরে জাগরণকে জানান, হামলার ঘটনায় কামাল মজুমদারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। ১০ জনকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে ১০ জনের পরিচয় সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। 

জানা যায়, এই হামলায় একজন গুরুতর আহত হলেও কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি।  হামলায় ডি ওয়ার্ডের শ্রমিক নেতা হারুন উর রশিদ আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত হারুন বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মোল্লাপাড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী সরাফত আলীর অভিযোগ, হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, টেলিভিশন এবং চেয়ার ভাঙচুরের পর ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।

জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে দাবি করে সরাফত আলী বলেন, ‘হামলায় ডিএনসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক নেতা হারুন উর রশিদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সরাফত।

এদিকে মোল্লাপাড়ার স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল মালেক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই হামলার ঘটনা সাজানো। কারণ হামলা কখন হয়েছে এলাকার মানুষ সেই বিষয়ে অবগত নয়। যদি হামলা হয়েও থাকে ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত না।’ আওয়ামী লীগের কর্মীরা নিজেরাই ভাঙচুর করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন আবদুল মালেক।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার। এ ছাড়া এই আসনে ২০ দলের মনোনীত প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।

আরআর/আরআই