• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম

কাউখালীতে ৫ দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু

কাউখালীতে ৫ দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু
রাস উৎসব উপলক্ষে কাউখালীতে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা  -  ছবি : জাগরণ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমায় শ্রীশ্রীমদ্ দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের ১২৮তম আবির্ভাবকে ঘিরে পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আশ্রমের ৫ দিনব্যাপী বার্ষিক উৎসব বুধবার (১৩ নভেম্বর) শুরু হয়েছে।

প্রতিবছর রাস পূর্ণিমায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সকালে হাজার হাজার ভক্তের অংশগ্রহণে সংঘ পতাকা উত্তোলন শেষে প্রায় দেড় কিলোমিটারব্যাপী এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কাউখালী বন্দর প্রদক্ষিণ করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন আশ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী জগন্নাথানন্দ সরস্বতী, সাধারণ সম্পাদক রণঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল হক, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম নসু, কাউখালী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল কুন্ডু, আশ্রমের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ বিপুল কৃষ্ণ ঘোষ প্রমুখ।

উৎসবের প্রচার, তথ্য ও অনুসন্ধান উপকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুব্রত রায় জানান, বিশ্ব চরাচরের দুঃখ বিমোচন, অধর্মের গ্লানি থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপনার্থে বিশ্ব শান্তি কামনায় ৫ দিন ব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারা দেশের ভক্তসহ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষাধিক ভক্ত ও পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা থেকেও ভক্তরা এ অনুষ্ঠানে সমবেত হবেন। এ আশ্রমের সেবামূলক অনেক কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দাতব্য চিকিৎসালয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাদান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিনামূল্যে বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা শিবির পরিচালনা, সুরেন্দ্রনাথ দে স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা ও দৈনিক দরিদ্র নারায়ণ সেবা অন্যতম।

এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মঙ্গল আরতি, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সরকারি হাসপাতালে দুস্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ, সান্ধ্যকালীন প্রার্থনা, ধর্মসভা ও গীতি আলেখ্য ইত্যাদি। ১৭ নভেম্বর সমাপনী দিনে গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

এনআই