• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৬:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৬:১১ পিএম

চট্টগ্রামে আরও ৫ প্রকল্প নেয়া হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

চট্টগ্রামে আরও ৫ প্রকল্প নেয়া হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম  -  ছবি : জাগরণ

চট্টগ্রামের উন্নয়নে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আরও পাঁচটি প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) নগরীর রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মেজবান হলে চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প প্রথম ফেজের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামে আগে কোনো পানি শোধনাগার ছিল না কিন্তু এখন আছে। নগরবাসী এখন বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, শুধু শহর নয়, গ্রামেও পানি পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার পুরো টাকা সরকার গ্র্যান্ড হিসেবে দিচ্ছে। প্রকল্পটি ৬ ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়ন করবে ওয়াসা। এতে করে দ্রুত কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলীও পরিবেশ দূষণ হতে রক্ষা পাবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরকে পরিপূর্ণ নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকল সেবা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওয়াসা পানির ব্যবস্থা করতে গিয়ে নগরবাসী ভোগান্তির শিকার হয়েছে। তবে এর সুফল পাচ্ছে। তেমনি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলেও নগরবাসীকে কিছু ভোগান্তির শিকার হতে হবে এবং পরে সুফল ভাগে করবে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফাজলুল্লাহ বলেন, চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সন্তোষজনক হলেও স্যানিটেশন অবকাঠামো যথেষ্ট নাজুক। চট্টগ্রাম শহরে কোনো পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। নগরীর ৮৮ শতাংশ বসতবাড়িতে মূলত অনসাইট স্যানিটেশন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। নিয়মিত পয়োবর্জ্য সংগ্রহের কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় বিভিন্ন উৎস হতে নিঃসৃত পয়োবর্জ্য মূলত রাস্তার পাশে নালায় নিপতিত হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম ওয়াসার তথ্যমতে, প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ওয়াসা বাস্তবায়ন করবে। ৫ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫ হাজার ৮৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৫৮ কোটি ৫ হাজার ৮৭৭ লাখ টাকা জিওবির অনুদান ও ৫০ কোটি টাকা চট্টগ্রাম ওয়াসার নিজস্ব তহবিল। প্রকল্পটি নগরীর উত্তর হালিশহর, নয়াবাজার, রামপুর, পাহাড়তলী, আমবাগান, লালখান বাজার, আসকারদিঘী, কোতোয়ালি, ফিরিঙ্গিবাজার, সদরঘাট, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, সল্টগোলা ক্রসিং এলাকাগুলোতে বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্পের ফলে নগরীর ২০ লাখ মানুষ সুবিধা ভোগ করবে।

এনআই

আরও পড়ুন