• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ১১:৪২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ১১:৪৩ এএম

এমপি লিটন হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা

এমপি লিটন হত্যা মামলার রায়কে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় সামনে রেখে গাইবান্ধার আদালত প্রাঙ্গণে বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে গাইবান্ধা পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রায় ঘোষণার দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোর ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কেউ কোনো ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করতে পারবে না। বৈধ অস্ত্রের মালিকরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। আদালত এলাকায় কেউ যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য সব শ্রেণী পেশার মানুষকে আদালত গেটে সতর্কতার সহিত তল্লাশি করা হচ্ছে। 

এছাড়া এমপি লিটন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে শত শত মানুষ ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সারিবদ্ধভাবে আদালতের সামনে সকাল থেকে অবস্থান করছেন। এছাড়া শহরের বাস টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ, র‌্যাব ও ডিবি বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম জাগরণকে বলেন, চোরাগুপ্তা হামলা প্রতিরোধে গাইবান্ধার স্পর্শকাতর স্থানগুলোর অলি-গলিতে পুলিশের সরব উপস্থিতি থাকবে। অলিগলির মুখে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় যাত্রীবাহী বাসগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি রাখতেও পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও  গোয়েন্দা পুলিশও নাশকতা ও অরাজকতা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

গত ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে খুন হন এমপি লিটন। লিটন নিহতের প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। তবে এখনও তার শূন্যতায় পরিবার ও স্বজনরা। এক সময়ে নেতাকর্মীদের আনাগোনায় মুখর থাকতো লিটনের বাড়িটি। এখন তা জনশূন্য। এখন ওই বাসার সেখানে দেয়ালে টানানো তার ছবি ছাড়া কিছু নেই। স্বজনদের কাছে এখন তিনি শুধুই স্মৃতি। সুন্দরগঞ্জের নেতারাও চান লিটন হত্যায় জড়িতরা সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।

ন্যায় বিচারের আশা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আর পাবলিক প্রসিকিউটর বলছেন রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হবে। 

২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আবদুল কাদের খাঁনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রীসহ ৫৯ জন।

বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আছেন প্রধান আসামি কাদেরসহ পাঁচজন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন পালিয়ে গেছে ভারতে। চলতি বছরের ১১ এপ্রিল হত্যার ঘটনায় অস্ত্র মামলায় কাদের খাঁনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কেএসটি

আরও পড়ুন