পৌষের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করেই এবার শীতের দাপট বেড়েছে উত্তরের সর্বশেষ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে। কাচের মতো স্বচ্ছ শিশিরবিন্দুগুলো ভর করেছে সবুজ প্রকৃতিতে। শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। টানা তিন দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রা অবস্থান করছিল এক অঙ্কে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। কিন্তু শীতের প্রকোপ কমেনি। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ভোরে সূর্যোদয় হলেও তার কিরণ বিকশিত হতে পারেনি শীতল এই প্রকৃতিতে।
বেলা যখন ২টা, তখনো চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিরাজ করছে ভোরের আভা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আশপাশের কিছু দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গ্রামের পাকা ধানের ক্ষেত, শহরের পিচঢালা পথ।
আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে। তবে ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে মুড়ে আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। দুপুর ২টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
এদিকে শহরের নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ফুটপাতে শীতের পোশাক কিনতে ভিড় লক্ষ করা গেছে। এছাড়া জেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর মানুষদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ফোজদার জানান, জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১০০ পিস করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো ২০ হাজার কম্বলের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এনআই