নওগাঁ সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ২৩১ নম্বর মেইন পিলারের কাছে নোম্যান্স ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডিং পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে নওগাঁ ১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক ও ভারতের পক্ষে ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডার হার্ষা জসি এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, ঘটনা জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে পত্র দেয়া হয়। এরপর পতাকা বৈঠক হয়। এ সময় গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ।

এর আগে বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই আহ্বান জানানো হয়। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় বিএসএফ।

এদিকে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিজিবির কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবির হাপানিয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোখলেছুর রহমান। তবে বিকেলে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সীমানায় পড়ে থাকা নিহত মফিজুল ইসলামের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে পোরশা থানা পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় বিএসএফ জোয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। এতে পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুভ্র কুমারের ছেলে রজনিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২) নিহত হন।

এসকে