• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮, ০৪:০৯ পিএম

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে আজ দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে আজ দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

 

মেহেরপুর জেলায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত থেকে হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে উত্তরের বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বলে জানা যায়।

এদিকে ভোর থেকে শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটেছে। ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কে কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষের ভিড়ও কম দেখা গেছে।  

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছামাদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ভোর ৬ টায় ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের তাপমাত্রা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

নারী শ্রমিক মেহেরপুর শহরের গড় পুকুরপাড়ার আতিরন খাতুন বলেন, প্রতিদিন ভোরে উঠে কাজে যেতে হয়। প্রচণ্ড শীতের কারণে লেপের ভেতর থেকে উঠতে মন চাচ্ছিল না। তারপরও পেটের তাগিদে বের হতে হয়েছে। কিন্তু শীতের যে অবস্থা তাতে কাজ করতে মন চাচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে শীত নিবারণে আগুনের উঞ্চতা নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দরিদ্র কর্মীজীবী মানুষেরা পথে-ঘাটে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা করে যাওয়ায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ ঘরের বাইরে বের হননি।

গাংনী বাস স্ট্যান্ডের বাস লাইনম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ফজরের নামাজের পর থেকেই বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মানুষের ভিড় শুরু হয়। কিন্তু বুধবার মানুষের উপস্থিতি তেমন ছিল না। শ্রমিকরা যারা বাজারে এসেছেন তারা আগুন জ্বালিয়ে সময় কাটিয়েছেন। শীতের যে তীব্রতা তাতে অতিরিক্ত কাপড় গায়ে দিয়েও স্বস্তি পাচ্ছি না।

 এসসি/এসজেড