• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮, ০৮:৩২ পিএম

ইরি-বোরো’র বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

ইরি-বোরো’র বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের কয়েকটি উন্নত ধানের বীজতলা

 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আধুনিকতার এ যুগেও প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই গরু দিয়ে চাষ করে এই বীজতলার জমি প্রস্তুত করছেন। শাহজাদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে বেড়েছে কৃষকদের ব্যস্ততা।

শাহজাদপুর উপজেলা সদর বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে হরেক রকম হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। আর এসব হাইব্রীড ধান বীজ নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বাহারি নামের বিভিন্ন কোম্পানির নিম্নমানের হাইব্রীড ধান বীজ বিক্রয় হচ্ছে। যে কারণে দোকানগুলোতে বেড়েছে কৃষকদের বিভিন্ন উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধান বীজ কেনার হিড়িক।

এদিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক বোরো ধানের প্রায় ২৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে কৃষকরা যে ধানবীজ থেকে ভাল ফলন হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সেগুলো গ্রহণ করছেন। ফলে ইরি বোরো ধান চাষ করে একদিকে নিজেদের পারিবারের চাউলের চাহিদা মেটানোর পাশপাশি বাজারে বিক্রি করেও আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। এ লক্ষ্যে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় সেজন্য অধিকাংশ কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।  

কৃষকরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া আগাম বীজতলা প্রস্তুত শেষ। তাই জানুয়ারিতেই বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হবে। ফসল পাওয়া যাবে এপ্রিলে।

শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জরুল আলম বলেন, গত বছর উপজেলায় ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এ বছর ২৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

এসসি/এসজেড