• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০১৯, ০২:১৪ পিএম

শেখ হাসিনা ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না : কাদের সিদ্দিকী

শেখ হাসিনা ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না : কাদের সিদ্দিকী

 

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। কিন্তু এ সময় পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। নিজের দলকে সামলানো এক সময় শেখ হাসিনার কঠিন হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে যে, পদত্যাগ না করেও দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন তিনি।

বুধবার (২ জানুয়ারি) আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, কাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভবিষ্যতে দেশের ইতিহাসে একটা কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে সরকারের এ বিজয় কিছুদিনের মধ্যেই নিন্দার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আবার নতুন করে মহাসঙ্কটে নিপতিত হলো। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ঘটনা দেশ ও জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন শেখ হাসিনাও। তাই দেশের ও দেশের মানুষের স্বার্থে এ ‘নির্লজ্জ ভোট ডাকাতির’ নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
 
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ নির্বাচন একটা কলঙ্কিত নির্বাচন। চট্টগ্রামের একজন প্রার্থী একটি ভোটও পায়নি। এটা পৃথিবীর আশ্চর্য বিষয়ের একটি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নির্বাচন অতীতে আমরা দেখিনি। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ আর কখনোই মানুষের ভোটে জয়যুক্ত হতে পারবে না। এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের। অপমৃত্যু ঘটেছে নির্বাচন কমিশনের।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি কিছু ভাড়া করা পর্যবেক্ষক বলেছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। অথচ পাকিস্তান আমলে যারা নির্বাচন পরিচালনা করেছে তারাও এতো কারচুপি করেনি।
 
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এখন আর নেই। এ নির্বাচনে বড় ক্ষতি হয়েছে শেখ হাসিনার। এ ক্ষতি তিনি পোষাতে পারবেন না।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজীপুরের শ্রীপুর-মাওনা আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ভোটের আগের রাতে সকল কেন্দ্রে সরকারদলীয় কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিলেমিশে অর্ধেক ভোট, কোনো কোনো কেন্দ্রে তার চেয়েও বেশি নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রাখে। যে কারণে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। বেলা ১১টার পর কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক।  

টিএস/এএস