• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০, ০৭:৪১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০, ০৭:৪১ এএম

পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন; ১০টি ড্রেজার ধ্বংস

পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন; ১০টি ড্রেজার ধ্বংস

পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দশটি ড্রেজার ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অপরাধে তিনজনকে আটক  করা হয়।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রওশন আলী ওই অভিযান পরিচালনা করেন।

আটককৃতরা হলো, ফরিদপুর জেলার গুরদিয়া গ্রামের ওমর আলী (৪০), বোয়ালমারী গ্রামের বিল্লাল হোসেন (২৫) ও রাজবাড়ী জেলার ওরাকান্দা গ্রামের স্বপন হোসেন (২৬)।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন কিছু সংখ্যক অসাধু প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী পদ্মা নদীর সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, তারাবাড়ীয়া, হাজার বিঘার চর, রাইপুর, নাজিরগঞ্জ, বড়খাপুর, হাসামপুর, মহনপুর, মহব্বতপুর ও কামারহাটসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রওশন আলীর নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বায়েজীদ বিন আখন্দ ও মোঃ নাজমুস সাদাত রতœ থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দশটি ড্রেজার  ধ্বংস করেন। এ সময় বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অপরাধে তিনজনকে আটক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বায়েজীদ বিন আখন্দ জানান, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রওশন আলী বলেন, পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এটি দ্বিতীয় দফা অভিযান। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর একইভাবে অভিযান পরিচালনা করে একটি ড্রেজার ধ্বংস এবং একটি বলগেট বিকল করা হয়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।