• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৪:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৪:২০ এএম

এমসি কলেজ ধর্ষণকাণ্ড

আইনশৃঙখলা বাহিনীর জালে এবার অভিযুক্ত রাজন

আইনশৃঙখলা বাহিনীর জালে এবার অভিযুক্ত রাজন
গ্রেফতারকৃত আসামী রাজন - বিশেষ সংবাদদাতা

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায়  অভিযুক্ত আরেক আসামী রাজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশেষ টিম।

প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের  কতিপয় নেতাকর্মী বিষয়টি ধামাচায়া দেয়ার প্রচেষ্টা চালালেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাদের অন্যায় আবদারকে রীতিমত চোখ রাঙিয়ে ঘটনার দিন মাঝরাতেই সমন্বিতভাবে সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিলেট প্রশাসনের আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বিভাগ।  আর রাত গড়াতেই আসামীদের ধরতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসে কঠোর নির্দেশনা। এরপরেই একে একে ধরা পড়তে থাকে অভিযুক্তরা।

রাজনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিশেষ সংবাদদাতার পাঠানো খবরে জানা যায়, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আইনুল নামের আরেক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়। রাজন ওই মামলার অজ্ঞাত আসামী ছিল বলে জানা যায়।

 সিলেট এমসি কলেজ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রাজন আহমদ ফেঞ্জু গঞ্জের কচুয়ায় অবস্থিত নয়াটিলা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশেষ টিম। এসময় রাজন ও তার সহযোগি আইনুলকে গ্রেফতার করা হয়। পর তাদেরকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে ওই মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি দল। অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে আরেক অভিযুক্ত রবিউলকে গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ।

এছাড়া রোববার সকালে সিলেট বিভাগের পৃথক দুই স্থান থেকে মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান এবং অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়।

এখন পর্যন্ত এই মামলার মোট ৯ জন অভিযুক্ত আসামীর মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হলো। অন্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে শাহপরাণ পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে কলেজ ও স্থানীয় ছাত্রলীগের ৫/৬ নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ঐ গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত আরও ৩ জনসহ মোট ৯জনকে আসামি করা হয়েছে।

এসকে