• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৬:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৬:২৯ পিএম

শ্লীলতাহানি করে সালিশে পার পেলেও আইনে আটক   

শ্লীলতাহানি করে সালিশে পার পেলেও আইনে আটক   

এক নারীকে শ্লীলতাহানির মতো আমলযোগ্য অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার জন্য সালিশে মোটা টাকা দিয়ে পার পেলেও সাংবাদিকদের তৎপরতা ও  থানা পুলিশের পদক্ষেপে আইনের হাতে আটকে গেলেন জনি হোসেন ও আকতার হোসেন নামের দুই বখাটে। 

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই দুই বখাটেকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থানায় তাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করা হয়। 

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত জনি হোসেন ও আকতার হোসেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার চরপাড়া দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়িও একই গ্রামে। মেয়েটির বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছে একই উপজেলার জগতলা গ্রামে। বিয়ের পরও সে বাবার বাড়িতেই থাকেন। 

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিয়ারপাড়া  গ্রামের পাশে থাকা একটি বাগানে ভুক্তভোগী নারী ছাগল চড়াতে যায়। জনি হোসেন ও আক্তার হোসেন বাগানের পাশেই কিছুটা দূরে আবাদি জমিতে কাজ করছিল। বখাটেদের একজন ওই নারীকে ডাক দিয়ে তাদের কাছে এনে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে এবং তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ নিয়ে রাতে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয়। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে হওয়া সালিশে বখাটে দুইজনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ছাড় পায়। বাকি টাকা পরিশোধ করার জন্য মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় নিয়েছিল তারা। বিষয়টি সাংবাদিকদের কানে গেলে তারা সোচ্চার হন। তারা প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি সংবাদ পরিবেশন করেন। এরপরই তৎপর হয় চাটমোহর থানা পুলিশ।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলন,  ভুক্তভোগী নারীর হাত ধরে ছেলেটি বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু গ্রামের মানুষ ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করছে। এ ধরণের ঘটনায় আমি সালিশ করি না। এটা মানবিক কারণে করা হয়েছে। জরিমানা ৬০ হাজার নয়; ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৪০ হাজার টাকা মেয়েটিকে দেয়া হবে। বাকি টাকাটা আনুষাঙ্গিক খরচ। 

চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্র ও শনিবার  আমরা পাশ্ববর্তী সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। আমি থানায় ছিলাম না। বিষয়টি জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। রোববার মেয়েটির বাড়িতে পুলিশ পাঠাই। বিভিন্ন কারণে মেয়েটি মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করে। তবে অভয় দেয়ার পর সে মামলা দায়ের করতে রাজি হয়। 

এসইউ