সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

পুলিশের তথ্য মতে, গ্রেফতারকৃত এই আসামী কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপিস্থ লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদের ছেলে মাহফুজুর রহমানকে (২৫)।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং অপর দুই আসামী অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এই রিমান্ডের আদেশ জারি করেন।

এদিন বেলা ১২ টায় প্রথমে সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে বেলা ৩ টায় মামলার অপর আসামি রবিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ,শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার সকালে সাইফুরকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং রবিউল ইসলামকে নবীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পৃথক তিনটি টিম। 

অন্যদিকে রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে এই পৈশাচিক ধর্ষণকাণ্ডের আরেক আসামী রাজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল। এ সময় রাজনকে আত্মগোপনে সহযোগিতায় করায় আইনুদ্দিন নামের অপর এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এর আগে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জন জ্ঞাত ও৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বর্বর এই ঘটনার শিকার সেই গৃহবধূর স্বামী। 

রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিমের ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনা সম্পর্কে জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ। এসময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন যা আদালত তাঁর জবানবন্দি হিসেবে রেকর্ড করেন।

এসকে