• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২০, ০৭:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৫, ২০২০, ০৭:০২ পিএম

কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ দুই বছর

কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ দুই বছর

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া দুটি স্থলবন্দর। কয়লা ও পাথর আমদানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ বন্দর দুটির কার্যক্রম। তাও প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ। এতে প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তোড়া জেলার গাছুয়াপাড়া বন্দর থেকে কয়লা ও পাথর আমদানির জন্য ১৯৯৭ সালের ১০ জানুয়ারি হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবড়াকুড়ায় শুল্ক স্টেশন চালু হয়। আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের জন্য স্থলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। বাড়তি সুযোগ সুবিধার জন্য গত ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবড়াকুড়া স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। কড়ইতলী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক সমিতি কড়ইতলী কোল এন্ড কোক ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম. সুরুজ মিয়া জানান, এই বন্দর দিয়ে ১৩টি পণ্য আমদানীর সুযোগ রয়েছে। তবে কেবল কয়লা ও পাথর আমদানি করা হচ্ছে।

ভারতে কয়লা উত্তেলনে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে গত দুই বছর ধরে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। করোনার আগে পাথর আমদানি করা হলেও এখন তা বন্ধ। তবে সব ধরনের পণ্য রপ্তানির সুযোগ থাকলেও বন্দরের পুলিশ স্টেশন, কাস্টমস ভবন, ওয়্যার হাউজ, ব্যাংক ও ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ধরনের সরকারি অফিস চালু হবে এখন এটাই প্রত্যাশা।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করতে আমরা বিভিন্ন সময় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। সম্প্রতি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী কমরেড সাংমা বাংলাদেশ সফরে এলে তাকে ময়মনসিংহ চেম্বার ও কমার্সে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। দুই দেশের সহযোগীতায় বন্দর দুটির কার্যক্রম গতিশীল করতে দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্তও করেছিলেন।’

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্থলবন্দর দুটির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মিত লেখা হচ্ছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষ হলে বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবে।