• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২০, ১২:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০২০, ১২:৪০ পিএম

রাঙ্গাবালীতে গৃহবধূকে বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

রাঙ্গাবালীতে গৃহবধূকে বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৩০ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি-তাকে নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমার্গারেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে ওই রাতেই স্পিডবোটযোগে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শনিবার সকালে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে শাকিল (২০) নামের এক তরুণকে শনিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে । শাকিল চরমার্গারেটের বাসিন্দা মজিবর শরিফের ছেলে। পেশায় টেইলার্স (দর্জি)। 

ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন,  সন্ধ্যার আগে তিনি কাশেম মোল্লার স্লুইসে (পার্শ্ববর্তী এলাকা) গিয়েছিলেন। বাড়ি যখন ফিরছিল, তখন রাত ৯টা কিংবা পৌনে ৯টা। পথিমধ্যে তার মোবাইলে বাড়ি থেকে ফোন আসে। পরে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার কাছে বিষয়টি সন্দেহের হলে তিনি দ্রুত বাড়িতে ছুঁটে যান। ঘরে ঢুকে অন্ধ্যকারে ছেলে-মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পান। স্ত্রী হাত টেবিলের সঙ্গে বাঁধা। নাক-মুখ ও চোখ ওড়না দিয়ে পেচানো। পরে তার চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে আসে। এরমধ্যে তার স্ত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।  পরে দ্রুত গলাচিপা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পটুয়াখালী হাসপাতালে।

তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে ঘর থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে । এ ঘটনায় তিনজন জড়িত আছেন বলে তথ্য দিয়েছেন স্বামী।প্রতিবেশীরা জানান, ভিকটিম মুমূর্ষ অবস্থায় ছিল। পরনের পোশাক এলেমেলো ছিল। ভিকটিমের তথ্যমতে, যে তিনজন এসেছিল তাদের গায়ে বোরকা ছিল। স্থানীয়রা জানায়, ওই গৃহবধূর বাড়ি নির্জনে জায়গায়। 

ঘটানার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ জানান, প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। 

জাগরণ/এমআর