• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০, ০৭:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২০, ০৭:২২ পিএম

আশুলিয়ায় সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি

আশুলিয়ায় সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি

দেশের সর্বোচ্চ জনবহুল এলাকা শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়া। এখানে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার দরুন অসংখ্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মের আশায় এখানে পাড়ি জমিয়েছে মানুষ। এর মধ্যে সিংহভাগ শ্রমিক বাস করে আশুলিয়ার ভাদাইল, কাঠগড়া, নরসিংহপুর ও জামগড়া সহ বিভিন্ন এলাকায়। এরমধ্যে বর্ষার সময় আসলেই প্রতিদিন হাটু পানি ভেঙ্গে কর্মস্থলে যোগ দিতে হয়। আর পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ। 

সাভার উপজেলার আশুলিয়ার জামগড়া চৌরাস্তা থেকে জামগড়া-বাগবাড়ি-কাশিমপুর শাখা সড়কটির বেহাল অবস্থা প্রায় ৫বছর ধরে। আর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেড থেকে ডিইপিজেড-ভাদাইল শাখা সড়ক, ভাদাইল চৌরাস্তা-আনবিক স্কুল এন্ড কলেজ শাখা সড়ক, গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড়-দিঘিরপাড় শাখা সড়কগুলোর একই অবস্থা। সড়কগুলো এ অঞ্চলের অন্যতম শাখা সড়ক। সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে হাজার হাজার শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ। সড়কগুলোতে মাসের ৩০দিন বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই হাটু পানি ও কাদায় যুক্ত থাকে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, জামগড়া চৌরাস্তা থেকে জামগড়া-বাগবাড়ি-কাশিমপুর শাখা সড়কটির প্রায় দেড় কিলোমিটার খানাখন্দে ও পানি জমে আছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ে ওই অঞ্চলের বসবাসকারী হাজার হাজার শ্রমিকসহ এলাকাবাসী। খানাখন্দ ভরা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। চরম ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করছে শ্রমিকরা।

ডিইপিজেড-ভাদাইল শাখা সড়ক ও ভাদাইল চৌরাস্তা-আনবিক স্কুল এন্ড কলেজ শাখা সড়কে গিয়েও একই চিত্র চোখে পড়ে। একটু বৃষ্টিতেই সড়কে হাটু পানি জমে থাকে। এ অঞ্চলে হাজারো শ্রমিকের বসবাস। ডিইপিজেড এর অধিকাংশ শ্রমিক ভাদাইল এলাকায় বসবাস করেন। সকাল থেকে ভাদাইল উত্তর পাড়া (সাধু মার্কেট) এলাকার পোশাক শ্রমিকরা অতি কষ্টে ইপিজেডে চাকুরি করতে যান। রাস্তায় পানি জমে থাকায় কোন যানবাহন চলাচল করতে চায়না। যদিও কোন রিকশা বা অটো-রিক্সা যেতে রাজি হয় তবে ভাড়া দিতে হয় দ্বিগুন। 

গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড়-দিঘিরপাড় শাখা সড়কটিও দীর্ঘ ৪ বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ অতি কষ্টে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া শুষ্ক মৌসুমেও এ রাস্তাটির অবস্থা থাকে বেহাল। তবে এ অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন রাস্তাটির এ অবস্থার জন্য দায়ী করেন দিঘিরপাড় এলাকার ধর্মপুর সিরামিক্সকে। ওই প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ড্রাম ট্রাক ঢুকার কারণে রাস্তার এ অবস্থা হয়েছে। শুধু তাই নয় রয়েছে কয়েকটি শিল্প কারখানা। যেসব কারখানায় বিভিন্ন ধরণের ভারি যানবাহন চলাচল করে। আর দুর্বিসহ কষ্ট ও ভোগান্তি সহ্য করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। 
সাভার উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ আহমেদ জানান, উপজেলা পরিষদের সাথে কথা বলে রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। সড়কের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখবো। পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থার দিকে স্থানীয়দের নজর রাখার অনুরোধ জানান তিনি।