• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২০, ১১:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০২০, ১১:২১ এএম

গ্রামবাসীর অর্থায়নে কলাপাড়ায় ভাসমান সেতু

গ্রামবাসীর অর্থায়নে কলাপাড়ায় ভাসমান সেতু

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রাম সংলগ্ন পাখিমারা খালের ওপর গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

গত ০৫ আগস্ট নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালের ১১৬ মিটার আয়রন ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। করোনা পরিস্থিতিতে মজিদপুর, এলেমপুর এবং কুমিরমারাসহ আশপাশের গ্রমের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজার জাত করা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভঙে পড়ে। সরকারি উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণ দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। সেজন্য স্থানীয় কৃষকদের পরিকল্পায় প্লাস্টিকের ড্রাম এবং কাঠ দিয়ে নির্মিত হয়েছে ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ০৪ ফুট প্রস্থের ভাসমান ব্রিজটি।

কৃষক-জনতার উদ্যোগে ভাসমান ব্রিজ নির্মাণের খবরে উপকূলীয় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ আসছে সেতুটি দেখার জন্য।

সেতুটি নির্মাণের জন্য ৭২টি প্লাস্টিকের বড় ড্রাম, ২৫০ কেপি চাম্পল কাঠ, ০৩ মণ লোহা (পেরেগ) ০৩ মণ প্লাস্টিক রশি। সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণ কাজে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছে ১২ জন কৃষক।

সেতুটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, সেতুর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী ভ্যান এবং যাত্রীবাহী ভ্যান চলাচল করতে পারবে। সেতুটির দুই পাশে মোটা রশি দিয়ে খালের দুই মাথায় শক্ত করে বাঁধা রয়েছে এবং ড্রামগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে, ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে।

১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ০৪ ফুট প্রস্থ্যের সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। এসব টাকা কুমিরমারা, মজিদপুর গ্রামের ২০০ পরিবার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার প্রতি ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি টাকা বিভিন্নজনের কাছ থেকে সহায়তা হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এলজিইডি প্রকৌশলী মোহর আলী বলেন, জন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এলজিইডি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। ব্রিজটি পুনঃনির্মান কিংবা বিকল্প ব্যবস্থায় জনসাধারনে চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ বরাদ্দ পেলে ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাগরণ/এমবি/এমআর