বান্দরবান জেলা শহরে অবস্থিত রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের বুদ্ধ মূর্তির বয়স অবশেষে নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ থেকে ১৫ শতকের আগে নির্মিত এই বুদ্ধ মূর্তিটি ৮০০ বছর আগের, এমন তথ্য জানালো দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ শাখা।
গত বুধবার দুপুরে পার্বত্য জেলা পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পাঠানো স্মারক সংবলিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানান বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের সদস্য সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ক্যএসমংসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
রাজগুরু বৌদ্ধবিহারে অধিষ্ঠিত বুদ্ধ মূর্তিটি মিয়ানমারের প্যাগান কালপর্বের শিল্পরীতির প্রভাবে নির্মিত হয়েছে এবং মূর্তিটি ব্রোঞ্জের বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিহার সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের রাজগুরু বুদ্ধ বিহারে বুদ্ধমূর্তি পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে এই মূর্তিটি তৎকালীন সময়ে বান্দরবানে আনা হয়। সে সময় ৯ম বোমাং সার্কেলের রাজা সানাইঞো এই মূর্তিটি রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে সংরক্ষণ করেন।
আরো জানা যায়, গত ১৫ থেকে ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্ত্বে তিন সদস্যের একটি টিম নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের মূর্তিগুলোর বয়স নির্ধারণ, স্বর্ণের মূর্তি কিনা তা নির্ধারণের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তারা তিন ঘন্টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। এ সময় তারা বিহারের সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরিদর্শনকালে বুদ্ধ মূর্তিটির আলোকচিত্র ও ভিডিও ধারণ করেন।
এই ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ক্যএস মং বলেন, বান্দরবানের রাজগুরু বিহারে যে বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে সেই ধরণের মাত্র তিনটি মূর্তি বাংলাদেশ রয়েছে, রাজগুরু বিহারের বুদ্ধ মূর্তিটি ৮শ বছর আগের পুরানো মূর্তি হওয়ার কারণে জেলায় দেশি বিদেশী বৌদ্ধ অনুসারীসহ এখন অনেকে দেখতে আসবে।