• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২০, ১২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০২০, ১২:৫৭ পিএম

ধান রক্ষায় পুলিশের পাহারা

ধান রক্ষায় পুলিশের পাহারা

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের দিকে লাঠিয়াল বাহিনীর চোখ পড়ায় পুলিশ প্রশাসন পূর্ব সতর্কতা হিসাবে ধান রক্ষায় পাহারা বসিয়েছে। ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেই জোতদার,লাঠিয়াল বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। ফলে ধান রক্ষার জন্য কৃষকের পাশাপাশি পুলিশও পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে।

জানা যায়, পটুয়াখালীর দশমিনা, গলাচিপা এবং ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার সীমানা বিরোধ প্রায় ৭৮ বছর ধরে চলছে। এই সীমানা বিরোধ এবং চরের জমির প্রকৃত মালিক নিয়ে বিরোধ সমস্যা আজও সমাধান করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেই চরাঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মোতাহার এবং পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরশিবা এবং দশমিনা উপজেলার চরবোরহান এবং ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর কচুখালীর সঙ্গে সীমানা বিরোধ রয়েছে। ধান কাটার সময় হলেই জোতদাররা চরের জমির ভুয়া দলিল ও ডিসিআর’র মাধ্যমে জমির মালিক হয়ে যায়। ভূমিহীন কৃষকরা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধান রোপন করলেও ধান কাটার মৌসুমে তারা আতংকে থাকে।দশমিনা উপজেলার চরাঞ্চলগুলোর চারদিকে নদী থাকায় মূল ভূ-খন্ড থেকে চরগুলো বিছিন্ন থাকে। ফলে কোন চরে সমস্যা হলে পুলিশের পৌঁছতে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে। 

চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজির সরদার জানান, চরবোরহানের সাথে চরশিবার মধ্যে ৫০০ একর জমির ধান নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছি।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. জসিম জানান, চরাঞ্চলে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সকল ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

জাগরণ/এমআর