• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০১৯, ০৬:২৪ পিএম

ফরিদপুরে বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া 

ফরিদপুরে বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া 

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পরই ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানান দিচ্ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমকর্মী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও সরব হয়ে উঠেছে।

২০১৪ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওহিদ বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করেই প্রায় পাঁচশ উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় নেতাকর্মী বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করে চলেছেন। 

সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-সালথা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান ওহিদ, সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, ইতালি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সালথা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওয়াসিম জাফর, সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ও উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওদুদ মাতুব্বর। 

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, যাকেই দল মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করবো। আমার কোন আপত্তি নেই। যদি আপা-মামা (ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও তার ছেলে) আমাকে যোগ্য মনে করেন তবে নির্বাচন করবো।

সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আপা-মামা (ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও তার ছেলে) আছেন তারা যে সিদ্ধান্ত দেন সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করবো। তারা আমাকে যোগ্য মনে করলে ভেবে দেখবো।

একই ব্যাপারে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, আমি এবং আমাদের পরিবার আজীবন আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে চলেছি। দল যদি আমার কথা চিন্তা করে তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।

ইতালী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের জন্য কোন প্রকার ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়াই সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছি। আমি মনে প্রাণে ভালোবাসি আওয়ামী লীগের উজ্জ্বল নক্ষত্র সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। যদি নেত্রী মনে করেন তবে আপত্তি নেই।

উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওয়াসিম জাফর বলেন, আওয়ামী লীগ আমার প্রাণের সংগঠন। সক্রিয়ভাবে দলের জন্য কাজ করছি। তাই দল যোগ্য মনে করলে আমি ভেবে দেখব।

এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আলোচনা এখন পথে-ঘাটে ও চায়ের দোকানে। কে হবেন সালথা উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান? সবাই এখন সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এনএ