• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৯:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৭, ২০২১, ০৯:৫০ পিএম

ধর্ষণ ও নির্যাতন

সেই তুফানের জামিন

সেই তুফানের জামিন

বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনার প্রধান আসামি ও বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকারকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১–এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হক এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

একই দিন মামলার বাদী ও তার নির্যাতিত মেয়ের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মোন্নাফ, নুরুস সালাম ও রবিউল ইসলাম।
 
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী আবদুল মোন্নাফ।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল-১–এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ মুখার্জি জানান, শুনানির সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তুফান সরকারের জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেছেন। আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তুফানের জামিন দিয়েছেন।

নরেশ মুখার্জি আরো জানান, ঘটনার পৌনে চার বছর পর আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত মা-মেয়ে দুজনই বলেন, ঘটনার স্থান, কাল কিছুই তারা জানেন না। তুফান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগও নেই। কোনো ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি। অন্যদিকে ভিকটিম ও মামলার অন্যতম সাক্ষী নির্যাতিত ছাত্রী বলেছেন, মামলার এজাহারে বর্ণিত অভিযোগ সত্য নয়। জোরজবরদস্তি করে মামলার এজাহারে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এজাহারে কী লেখা আছে, সেটাও তিনি পড়ে দেখেননি। ভুল–বোঝাবুঝি থেকে এ মামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি তুফান সরকার ছাড়া অন্যরা হলেন তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান আশা, আশার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি, তুফানের শাশুড়ি লাভলী রহমান রুমি, তুফানের সহযোগী মো. আতিকুর রহমান  আতিক, মুন্না, আলী আযম, মেহেদী হাসান ওরফে রুপম, সামিউল হক শিমুল ও এমারত আলম খান জিতু। তুফান সরকার ছাড়া অন্যরা আগে থেকে দুই মামলাতেই জামিনে রয়েছেন।