• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১, ০৪:৫৫ পিএম

মোটরমালিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

মোটরমালিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বগুড়া জেলা মোটরমালিকদের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিক-পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার চারমাথা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। 

সংঘর্ষের সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয় অন্তত ১২টি মোটরসাইকেল। ভাঙচুর করা হয় জেলা মোটরমালিক গ্রুপের কার্যালয়, একটি তেলের পাম্প, শাহ ফতেহ আলী বাস ও পরিবহনের কার্যালয়ও। 

এদিকে এ ঘটনার জেরে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। বন্ধ ছিল বগুড়া নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কও। সংঘর্ষের পর চারমাথা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

জানা গেছে, বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তিন বছর আগে বগুড়া জেলা মোটরমালিক গ্রুপের একটি নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আকতারুজ্জামান ডিউক সভাপতি ও আমিনুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন থেকে এই ভোটকে অবৈধ দাবি করে আসছেন মঞ্জুরুল আলম মোহন। তার দাবি, কোনো আইনকানুন না মেনেই নির্বাচন করা হয়েছে। এরপর আদালতে গড়ায় বিষয়টি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুই পক্ষই প্রস্তুত হয়ে চারমাথা বাসস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা চারমাথা এলাকায়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মোটরমালিক গ্রুপের কার্যালয়ে। পোড়ানো হয় অন্তত ১২টি মোটরসাইকেল। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) সদস্য রমজান আলী, ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে জিটিভির ক্যামেরাপারসন রাজু আহম্মেদ (৪৭) ও চেইন মাস্টার আলামিন (৫৫) আহত হয়। 

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ও সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ চারমাথায় অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশ রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। 

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা ছাড়াও আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। 

অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে জেলা মোটরমালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, “আমরা খবর পেয়েছিলাম একটি পক্ষ মোটরমালিক গ্রুপের অফিস দখলের জন্য চারমাথা যাচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে সেখানে সংঘর্ষে এক পুলিশ ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।”