• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ১২:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম

পাহাড়ি নারীদের রাবার পাতায় বাড়তি আয়

পাহাড়ি নারীদের রাবার পাতায় বাড়তি আয়

একরের পর একর রাবারগাছ দাঁড়িয়ে আছে পাতাহীন। যত দূর চোখ যায় শুকনো পাতার বন মনে হয় রাবার বাগানকে। যেন প্রাণহীন এক বন। কিন্তু রাবারগাছের নিচে ঝরাপাতা নিয়ে কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শতাধিক নারী পুরুষ। তাদের পাতা কুড়ানোর কর্মযজ্ঞ চলবে ২ মাস। প্রতিদিন তাদের মজুরি ২০০ টাকা। এ সময়টায় এটাই পাহাড়ি নারীদের আয়।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সন্তোষপুর বনে বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বশিউক) রয়েছে এক হাজার জমিতে রাবারগাছ। মাঘ মাস অর্ধেক হলেই পাতা ঝরা শুরু হয় রাবার বাগানে। ফাল্গুন আসার আগেই রাবারগাছ পাতাবিহীন ন্যাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাবার কষ সংগ্রহকারী ট্রেপারম্যানরা ঝরা পাতা প্লট আকারে বিক্রি করে বাড়তি টাকা পান। প্রতি প্লট পাতা বিক্রি হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এ ঝরাপাতা কিনে নেয় স্থানীয় পাতা ব্যবসায়ীরা। পাতা ব্যবসায়ীরা ঝরাপাতাগুলো পাহাড়ি নারী শ্রমিকদের দিয়ে জড়ো করে বিক্রি করে কচু, হলুদচাষিদের কাছে। পাতাগুলো কচু ও হলুদক্ষেতের ঢাক (ঢাকনা) হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। 

সরেজমিন রাবার বাগান ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি মহিষের গাড়িতে পাতা ভর্তি করা হচ্ছে। শতাধিক নারী পুরুষ পাতা কুড়িয়ে জড়ো করছেন। 

আছিয়া ও খুকি নামের নারী জানান, “আমরা গরিব মানুষ। এ সময় পাহাড়ে কাজ কমতে থাকে। তাই আমরা ২০০ টাকা মজুরিতে কাজ করি।”

ট্রেপারম্যান নার্গিস বলেন, “আমরা কষ সংগ্রহ করে যে টাকা বেতন পাই তাতে চলে না। বছর শেষে পাতা বিক্রি করে কটা টাকার মুখ দেখি। পাতাগুলো আমরাই দেখে রাখি।” 

হারুন অর রশিদ নামের এক পাতা ব্যবসায়ী বলেন, “আমি ট্রেপারম্যানদের কাছ থেকে প্লট আকারে পাতা কিনে শ্রমিক দিয়ে তা জড়ো করে কচু ও হলুদচাষিদের কাছে বিক্রি করে থাকি।” 

রাবার বাগান ম্যানেজার মফিজুল ইসলাম খান জানান, ট্রেপারম্যানরা গরিব মানুষ। সারা বছর ওরা বাগানে কাজ করে। পাতাগুলো ওরাই দেখে রাখে। বিক্রি করে ওরা বাড়তি কিছু টাকা পায়।