• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ১০:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ১১:১৯ এএম

নির্যাতিত সেই শিশু গৃহকর্মী হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ

নির্যাতিত সেই শিশু গৃহকর্মী হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) রেজিস্ট্রার ডা. সি এইচ রবিনের বাসায় নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী নিপা বাড়ৈ (১১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শামসুদ্দোহা তাওহিদ উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 

বুধবার রাতে উজিরপুরের উত্তর জামবাড়ি এলাকা থেকে নিপাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ।

ডা. শামসুদ্দোহা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চাচা পরিচয়ে এক ব্যক্তি নিপাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশকে না জানিয়ে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিতে রাজি হয়নি। শুক্রবার ভোর ৫টার পর নিপা ও তার সঙ্গে থাকা বড় মা পরিচয়দানকারী নারীকে আর দেখা যায়নি।

শিশুটির পাশের বেডের রোগীরা জানিয়েছেন, সারা রাত ওই শিশুটির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের মোবাইলফোনে অনেক কল আসে। তারা সারা রাত সজাগই ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের একজন মেম্বারের মধ্যস্থতায় বিষয়টি ডা. সি এইচ রবিন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শিশুর স্বজনদের অর্থের প্রলোভন দেখানো হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, শিশুটির গ্রামের বাড়ি এলাকার তপন বাড়ৈ শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান।

উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, শিশুটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন জানান, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের জামবাড়ি গ্রামের ননী বাড়ৈর মেয়ে নিপা বাড়ৈ ৬ মাস আগে স্থানীয় বাসুদেবের মাধ্যমে রাজধানীর শ্যামলীতে ডাক্তার সি এইচ রবিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে যোগদান করে। ডা. রবিন চন্দ্রের বাড়িও একই উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি নিপাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে আসার পর স্বজনরা নিপার শরীরে জখম ও ক্ষত দেখতে পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। বুধবার রাত ১টার দিকে নিপাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।

শিশু গৃহকর্মী নিপা জানায় , কাজের শুরু থেকেই সামান্য ভুলত্রুটি হলেই ডাক্তার রবিনের স্ত্রী রাখি দাস তার শরীরে কখনো খুন্তি দিয়ে আঘাত করতো, কখনো বা ধারালো চাকু দিয়ে কোপ মারত।

আরও পড়ুন