নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সংঘর্ষে ছোটন অধিকারী (৫১) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। 

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ছোটন শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত নিতাই অধিকারীর ছেলে। তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েলের সমর্থক ছিলেন। আহত দুইজন সৈয়দপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালে ভর্তি আহত আজম আলী সরকার বলেন, “সৈয়দপুর মহিলা কলেজের সামনে আমার পরিচিত ছোটন অধিকারীকে কাউন্সিলর প্রার্থী আক্তার হোসেন ফেকুর সমর্থকরা মারধর করছিল। এ সময় আমি প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপরও চড়াও হয়। আমাকে বেধড়ক মারধর করলে আমি মাটিতে পরে যাই। এলাকাবাসী আমাকেসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে জানতে পারি ছোটন অধিকারী মারা গেছে।”

স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। সকাল ১১টার দিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েল ও আখতার হোসেন ফেকুর সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়। 

সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সামান্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বড় কোন ঘটনা নয়। তবে একজন নিরীহ ব্যক্তির জীবনাবসান হলো। এটা খুবই মর্মান্তিক। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমিদুল হাসান জানান, দুপুর ১টায় ছোটন অধিকারীকে তার স্ত্রী ও লোকজন হাসপাতলে নিয়ে আসে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আহত দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, “আমি খবর পেয়েছি। একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছিলো, তিনি মারা গেছেন। আমাদের কোন কেন্দ্রে কোন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা হয়নি। তার মৃত্যুর কারণ জানতে চেষ্টা করছি।”