• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২১, ০৭:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৯, ২০২১, ০৭:৩৯ পিএম

আ. লীগ নেতার বোনের বাড়িতে হামলা

ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর নামে অভিযোগ

ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর নামে অভিযোগ

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের বোনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর নামেও মামলা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে এ অভিযোগ করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের একাংশের নেতাকর্মীরা শহরের সাহেবপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্পাদকের বোনের বাড়িতে হামলার চালায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশের ৫০ থেকে ৬০জনের একটি দল সন্ধ্যায় শহরের আলোরুপা মোড়ের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মতিয়ার রহমানের ছোট বোন ফাতেমা বেগমের (৫৭) বাড়িতে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ হামলায় ফাতেমা বেগম আহত হন। এলাকাবাসীরা আহত ফাতেমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে রাতেই ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ফাতেমা বেগমের বড় ছেলে ফারুক হোসেন স্বপন বলেন, “আমার ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফরিদ হোসেন সবুজকে খুঁজতে বাড়িতে আসে ছাত্রলীগের ওই ছেলেরা। সবুজকে না পেয়ে তারা বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দরজা ও জানালায় লাঠিসোটা দিয়ে সজোরে আঘাত হানে। এতে ভয় পেয়ে আমার মা দ্রুত ঘরের দরজা বন্ধ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা দরজায় লাথি মারে। এতে মা হাতে আঘাত পান। তারা বাড়িতে অতর্কিতভাবে এ হামলা চালিয়ে দরজা, জানালা ভাঙচুর করে এবং আমার মাকে আহত করে দ্রুত সটকে পড়ে।”
 
ঘটনাটি নিয়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা সবুজের ভাবি সানজিদা বেগম বলেন, “তারা হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার দেবর সবুজকে খুঁজে না পেয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। তাদের হামলায় আমার শাশুড়ি আহত হন।”

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বলেন, “জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর আমার ছোট বোনের বাসায় হামলা চালিয়েছে এবং তাকে আহত করেছে। তারা আমার বড় ভাইয়ের বাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় রাতেই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।”

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন জানান, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর বার বার সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দায় ছাত্রলীগ নিতে পারে না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একজন ছাত্রলীগ নেতার আদর্শ এমন হতে পারে না।

তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর বলেন, “রাজনীতির প্রতিহিংসার কারণেই তারা থানায় ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।”

লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামাল বলেন, “এ ঘটনার তদন্ত চলছে। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”