• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৮:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২১, ০৮:২৮ এএম

মরিচের বাম্পার ফলন

মরিচের বাম্পার ফলন

শস্যভান্ডারখ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ের ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীপারের পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ মরিচের আবাদ হয়েছে। কৃষকের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মরিচের সবুজের সমারোহ।

ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়ে খুশি এ উপজেলার মরিচচাষিরা। গত মৌসুমে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আত্রাই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মরিচচাষিরা তাদের জমিতে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় দেখা গেছে মরিচ চাষের দৃশ্য।

সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের ছোঁয়ায় আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচের বাহার। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।

দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন কৃষক। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা।

আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। সময়মতো বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া আসায় কঠিন হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই ন্যায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হন মরিচচাষিরা।

উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামের মরিচচাষি মো. খোরশেদ বলেন, “আত্রাই নদীর তীরে আমি ১০ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এতে আমার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। তবে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ মরিচ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়।”

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন বলেন, “চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হন, সেই দিকটা লক্ষ রেখেই আমরা অফিশিয়ালভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।”