• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০২১, ০৪:২৭ পিএম

মৌলভীবাজারে করোনা চিকিৎসায় সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ

মৌলভীবাজারে করোনা চিকিৎসায় সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ

করোনা রোগীর চিকিৎসায় এক বছরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, অ্যান্টিজেন টেস্ট। সংকট নেই অক্সিজেন সিলিন্ডারের।

আইসিইউ ইউনিটের সেবায় সন্তুষ্ট রোগীর স্বজনরা। সিলেট কিংবা ঢাকায় না গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জেলায় চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, নমুনা সংগ্রহ ও সাধারণ ১০টি বেডের আইসোলেশন ইউনিট দিয়ে গত বছর মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। আর বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ৫০টি সাধারণ বেডসহ যুক্ত হয়েছে পাঁচটি আইসিইউ বেড, পাঁচটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, দুটি ভেন্টিলেটর। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১০৫টি।

গত ৮ মাসে আইসিইউ ইউনিটে সেবা নিয়েছেন ৬০ জন রোগী। এরমধ্যে শুধু এপ্রিলে সেবা নিয়েছেন ১০ জন। করোনা ইউনিটে ভর্তি সরকারি এই হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা।

করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর পরিবারের সদস্য জানান, উনার বাবার অক্সিজেন লেভেল কম থাকায়, চিকিৎসকের পরামর্শে আইসিইউতে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে উনার বাবা অনেকখানি ভালো অবস্থায় আছেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী দত্ত কাননগো বলেন, “আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য ইতিপূর্বে চাহিদা পত্র প্রদান করা হয়েছে। এতে শনাক্তকরণের কাজ আরও সহজ হবে। আমাদের এখানে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন এবং ভালো চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরছেন।”

সময়মত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। খুব শিগগিরই জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে করোনা টেস্ট চালুর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের অন্য কোথাও না গিয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ।

এদিকে, করোনা রোগীর চিকিৎসায় সক্ষমতা আরও বাড়াতে হাসপাতালটিতে দ্রুত আরটিপিসিআর ল্যাব এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালুর দাবি মৌলভীবাজারবাসীর।

উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩১৯ জন, সুস্থ হয়েছেন ২১৬৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের।