• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২১, ০৮:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০২১, ১১:০২ এএম

দিনে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল

দিনে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজারসহ সব ফেরিঘাটে দিনের বেলায় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পচনশীল পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে।

শুক্রবার (৭ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল থেকেই দেখা যায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ। ফেরিতে ঠাসাঠাসি করে মানুষকে নদী পারাপার হতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, ঈদকে সামনে রেখে এ নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে বিভিন্ন নৌরুটে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল বিভিন্ন ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়।

শুক্রবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে চলাচল করেছে ১৩টি ফেরি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও করোনা সংক্রমণের শঙ্কা নিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরেছেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি দেখে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাফায়েত আহমেদ আরো জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের চাপ বাড়ে। হাজার হাজার যাত্রী ঈদের আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। নৌরুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় ফেরিতে গাড়ি অপেক্ষাকৃত কম পার হচ্ছে। ফেরিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে শুরু করে যাত্রীদের বসার জায়গাসহ সর্বত্র ছিল উপচে পড়া ভিড়।

যাত্রীদের পারাপারের জন্য বিকল্প কোনো নৌযান না থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের প্রচুর চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই যাত্রীরা উঠে যাচ্ছেন। এতে করে গাড়ি উঠতে পারছে না ফেরিতে। বাধ্য হয়েই কিছু ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি ও যাত্রীদের নিয়ে ফেরি চলাচল করতে দেখা গেছে।