• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২১, ০২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৮, ২০২১, ০২:৫১ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস

নোয়াখালীর প্রতি ইউনিয়নে বরাদ্দ আড়াই লাখ টাকা

নোয়াখালীর প্রতি ইউনিয়নে বরাদ্দ আড়াই লাখ টাকা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালী জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইয়াসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২৮ মে) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘‘নোয়াখালী উপকূলীয় জেলা হওয়ায় যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই অঞ্চলের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করতে আরও সময় লাগবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।’’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘‘ইয়াসের প্রভাবে এবার বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে কিংবা বাঁধ উপচে পানি ঢুকে অনেক এলাকার ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার প্রতি ইউনিয়নে আড়াই লাখ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।’’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ কিছুটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা। হাতিয়ার প্রায় সব গ্রামে জোয়ারের পানি রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলমান রয়েছে। রোববার (৩০ মে) আমরা আপনাদের ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব বলে আশা করি।’’

নোয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোতালেব হোসেন  বলেন, ‘‘হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ৫০টি মৎস্য পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২০০ ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চাষিদের প্রায় ১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’

নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ে বড় গাছের ক্ষতি কম হয়। মূলত চারাগাছের ক্ষতি হয়। গত দুই বছরে যেসব নতুন বাগান হয়েছে, সেগুলো ক্ষতি হবে। বর্তমানে উপকূলে জোয়ারের পানি রয়েছে। জোয়ারের পানি ভাটায় নামামাত্র আমাদের কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাঠাবেন।’’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহীদুল হক বলেন, ‘‘এবারের জোয়ারের পানি অধিক লবণাক্ত হওয়ায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তবে জোয়ার আসা বন্ধ হলে ক্ষয়ক্ষতির আরও সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করা যাবে।’’

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘‘হাতিয়া উপজেলায় ১২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে সোনাদিয়া, তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া অনেক স্থানে বেড়িবাঁধের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। বেড়িবাঁধের সংস্কার অব্যাহত আছে।’’