• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০১৮, ০৪:১৬ পিএম

আবহাওয়ার পরিবর্তনে বেড়েছে শীতজনিত রোগ-বালাই

আবহাওয়ার পরিবর্তনে বেড়েছে শীতজনিত রোগ-বালাই

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের বারান্দায় বসে আছেন সালমা বেগম। কোলে তার ৩ বছরের অসুস্থ কন্যা শিশু সায়মা। কদিন যাবৎ থেমে থেমে জ্বর ঠাণ্ডা কাশি। রয়েছে শ্বাস কষ্টও। স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে খাইয়েছেন। কিন্তু কোনও সুফল পাচ্ছেন না। হাসপাতালের বারান্দায় শিশুটিকে চিকিৎসা করানোর জন্য অসহায়ের মত বসে আছেন, কখন তার ডাক আসে। এসময় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় সালমার। তার বাসা লালবাগের কামালবাগ বস্তিতে। সায়মার বাবা একটি জুতার কারখানায় কাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন। 

 শিশু বর্হিবিভাগে উপচেপড়া ভীড় শিশু ও মায়েদের। অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু বিভাগের টিকেট লেখক মরিয়ম জানান, ‘স্যার ঠাণ্ডা কুয়াশা পড়ছে না? এ জন্য বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগছে। বাড়ছে জ্বর, এ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও টাইফোয়েট।’

পাশেই ছিলেন মেডিসিন বহির্বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী সেলিম আহমেদ। তিনি জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও কুয়াশা মানুষের শরীরে নাড়া দিয়েছে। তবে সুনিদির্ষ্ট চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যায়।’ 
হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে একই অবস্থা। ওয়ার্ডে কোনও বিছানাই খালি নেই। তারপরও মেঝেতে, সিঁড়ি কোঠার নিচেও রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

অপরদিকে রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগের অবস্থা আরও শোচনীয়। শিশুর চিৎকার আর মায়ের কান্নায় করুণ পরিবেশ। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যাপক শামসুজ্জামান শাহিন ( মেডিসিন অব পেডিয়াট্রিক) বলেন, ‘আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনে সকলেরই একটু ঠাণ্ডা লাগতে পারে। আতঙ্কের কিছু নেই। কয়েকদিন এমনটা থাকতে পারে।’ 

এবিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কবির আহমেদ জানান, ঋতু পরিবর্তনের ফলে ঠাণ্ডার প্রভাবে রোগ-বালাই বাড়ছে। ঠাণ্ডা-জ্বর ও ব্রংকাইটিসের রোগী বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ খেলে এবং নিয়ম মেনে চললে রোগী দ্রুত সেরে উঠবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এইচ এম /জেডএস