• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৯:২০ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী
ডায়রিয়ার প্রকোপ এতোটাই বেশি যে হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা হচ্ছে না রোগীদের –ছবি : জাগরণ

 

তীব্র শীত আর শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের কারণে তারা কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্যও নেই তাদের কাছে পর্যাপ্ত কাপড়। একই সঙ্গে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। শীতে কাবু হয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তাইতো শীত এবং ডায়রিয়ায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের জীবন। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত সাত দিনে ২৭৩ জন শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও কর্তব্যরত নার্সদের।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানায়, প্রতিদিন ৪০-৪৫ জন রোগী বা তার বেশিও ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি বেশির ভাগ রোগীই শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৪৩ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। 

এক শিশু রোগীর মা জানান, হাসপাতালে এসে বেড পাইনি। ঠাণ্ডায় ছোট বাচ্চাকে নিয়ে মেঝেতে শুয়ে আছি। বেশি ঠাসাঠাসিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে মেঝে পর্যন্ত খালি নাই। আমার শিশু সন্তানসহ মেঝেতে থাকা সব রোগীই শিশু হওয়ায় খুব কষ্ট করতে হচ্ছে।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, শীতের কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ঠিকমতো টিকা প্রদান ও ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তাছাড়া ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে শিশুকে দূরে রাখা এবং গরম কাপড় পরিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ডায়রিয়া এক ধরনের পানিবাহিত রোগ। রোটা ভাইরাসের কারণে এই ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ৬-১৬ মাস বয়সী আক্রান্ত শিশুকে ঘন ঘন স্যালাইন ও মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। মায়ের বুকের দুধ ও রোটারিক্স টিকা দিলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ, পাতলা খাবার ও স্যালাইন খাওয়ানো জরুরি।

এনএ