• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০১৯, ০৯:২৯ এএম

নবাবগঞ্জের গালিমপুর আদর্শ গ্রামে দুর্ভোগে চারশ ভূমিহীন মানুষ

নবাবগঞ্জের গালিমপুর আদর্শ গ্রামে দুর্ভোগে চারশ ভূমিহীন মানুষ

 

ঢাকার নবাবগঞ্জের গালিমপুরে ইউনিয়নে রয়েছে আদর্শ গ্রাম প্রকল্প- ২। এখানে ৪৫টি পরিবারের প্রায় চার’শ মানুষ বসবাস করে। কিন্তু ২১ বছরের মধ্যে এসব ছিন্নমূল মানুষরা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমির মালিকানার (কাগজ) ও দলিল এখনও বুঝে পাননি। উপজেলা ভূমি অফিসে বার বার কাগজপত্র জমা দিলেও কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ও লুৎফর মেম্বার জানান, দরিদ্র্য মানুষের কল্যাণ ও স্থানীয়ভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮/৯৯ অর্থ বছরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নবাবগঞ্জের গালিমপুর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা এলাকায় এই গালিমপুর আদর্শ গ্রাম- ১ও ২ তৈরি করে। কিন্তু স্থানীয় একটি বিত্তশালী প্রভাবশালী চক্র ও ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাদের যোগসাজসে চরম দুর্ভোগে জীবনযাপন করছেন ভূমিহীন ৪৫টি পরিবারের সদস্যরা।

আদর্শ গ্রাম প্রকল্প-২ এর বাসিন্দা জহুরা বেগম (৬৫) ও সোরহার (৭২) জানান, এখানে চার’শ লোকের বসবাস। আমাদের নিজস্ব মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থান,শ্মশান নেই। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তখন আমাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। যাতায়াতের জন্য সড়ক না থাকায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ফলে শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে এ গ্রামের মানুষ।

আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা পরশ মিয়া ও মইফল জানান, এখানে আমাদের প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরণের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, আমাদের জমির দলিল যেন দ্রুত বুঝে পাই। আর যোগাযোগের জন্য একটি সড়ক যেন করে দেয়া হয়। তাছাড়া, ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় খুবই প্রয়োজন। নইলে আমাদের আগামী প্রজন্ম অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে।

গালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান তপন মোল্লা জানান, আমি বিভিন্ন সময় উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। কিছু দিন পরপর কাগজ হারিয়ে যায়। বিষয়টি দুঃখ জনক।

ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ ফেরদৌস খান জানান, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসসি/