• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২১, ০৪:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম

জামাইবরণে প্রস্তুত বিরামপুরবাসী

জামাইবরণে প্রস্তুত বিরামপুরবাসী

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জামাই হওয়ায় আনন্দের বন্যায় ভাসছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে জামাইবরণে প্রস্তুতি চলছে।   

রেলমন্ত্রী বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার অ্যাডভোকেট শাম্মী আকতার মনিকে (৪২) বিয়ে করেছেন। শাম্মী আকতার মনির বাবার নাম মরহুম আব্দুর রহিম। 

৫ জুন (শনিবার) ঢাকায় হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন তন্ময়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার (১১ জুন) সকালে বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী টুটুল বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রেলমন্ত্রী স্ত্রী শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলনও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

জাহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, “আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকেন। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছে। আইনি বিষয়ে পরমার্শ নিতে কিছুদিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পরে পারিবারিকভাবে আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। উভয় পক্ষের অভিভাবকের সম্মতিতে পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী এবং কনেপক্ষে আমি ও আমার ভাই।

জানা যায়, আইন পেশার পাশাপাশি ঢাকায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে শাম্মী আকতার শিক্ষকতাও করেন।

বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী টুটুল জানান, আলোচনা ঢাকা থেকে শুরু হলেও তিনি ঘটকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন।

পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হন। নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।