• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২১, ০২:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০২১, ০২:০৮ পিএম

আদালতে তোলা হয়েছে সৌমেনকে

আদালতে তোলা হয়েছে সৌমেনকে

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলার আমামি এএসআই (বরখাস্ত) সৌমেন রায়কে আদালতে নেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে হাজির করা হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সৌমেনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পরকীয়ার জেরে কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে স্ত্রী, সৎ ছেলে ও এক বিকাশকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সৌমেনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন নিহত আসমার মা।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত দাস জানান, নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম বাদি হয়ে মেয়ে ও নাতি হত্যার দায়ে সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এজাহার দিয়েছেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্তকরণ করা হয়েছে।

নিহত আসমার মা হাসিনা খাতুন বলেন, “সৌমেন গত দুইদিন আগে খুলনা থেকে এসে আমাদের বাসায় উঠে। গতকাল আসমাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটিও হয়েছিল। তখন তো বুঝি নাই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আমি বিচার চাই।”

রোববার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় স্ত্রী আসমা খাতুন ও তার শিশুসন্তান রবিন এবং শাকিল খান নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেন সৌমেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

নিহতরা হলেন সৌমেনের স্ত্রী আসমা (২৫), সৎ ছেলে রবিন (৫) এবং শাকিল (২৮)। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন জানিয়েছেন, নিহত যুবক শাকিলের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। 

এ ঘটনায় সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে রেঞ্জ কার্যালয় ও খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান জানান, এসএসআই সৌমেন রায় ছুটি না নিয়ে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর জানতে পারেন সৌমেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত সৌমেনের গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসমা খাতুনের সঙ্গে সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি তাঁর পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কেউ জানত না।

স্থানীয়রা জানায়, আসমার দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান ছিল রবিন। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর সৌমেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। এরপর তারা বিয়ে করেন। কিন্তু কর্মস্থল বদলি হওয়ার পর সৌমেনকে ছেড়ে বিকাশকর্মী শাকিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আসমা। 

আরও পড়ুন