• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম

লকডাউন মানছে না অনেকেই, বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

লকডাউন মানছে না অনেকেই, বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

মেহেরপুর জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছেই। জেলার দুটি উপজেলার তিনটি গ্রাম লকডাউন ও চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করার কারণে করোনা সংক্রামণ কিছুতেই কমছে না। মেহেরপুর জেলা শহর ও মুজিবনগরে প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও গাংনী উপজেলায় প্রশাসনের তৎপরতা নেই বললেই চলে। 

জানা গেছে, বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২শত ৫৮ ও মৃত ৩৩ জন। এর মধ্যে মেহেরপুর সদরে ৭২,গাংনীতে ১ শত ৯ ও মুজিবনগর উপজেলায় ৭৬ করোনা আক্রান্ত।

এদিকে সন্ধ্যা ৬ টার পর মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা শহরের দোকান বন্ধ থাকলেও গ্রাম অঞ্চলে দোকান বন্ধের কোন উদ্যোগ নেই। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ভোর থেকে গভীর রাত্রী পর্যন্ত চলে আড্ডা। তবে দোকান বন্ধ সহ জন সাধারণকে ঘরে ধরে রাখতে তেমন কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। নাম মাত্র কয়েক জনকে জরিমানার আওতায় আনা হলে সচেতনতা ও তদারকির অভাবে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের করোনা রোধে নানা পরিকল্পনা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাংনী উপজেলার হিন্দা, তেঁতুলবাড়িয়া ও মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত গ্রামে করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে লকডাউন। এলাকায় দোকানপাট খোলা রয়েছে। মানুষ অবাধে চলাচল করছে। এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে সংক্রামণ মহামারি আকার ধারন করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে স্থানীয়রা। এছাড়া জেলার সবচেয়ে বড় পশু হাট বামুন্দীতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা ও সীমান্ত এলাকার পশু ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় করছে। এছাড়া জেলার ছোটবড় সব হাটবাজারে বিপুল সংখ্যক জনসাগম ও স্থাস্থ্যবিধি অমান্য করে অবাধে চলাচল করার কারণে করোনা সংক্রমণ সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারনা করছে সচেতন মহল। দ্রুত সময়ের মধ্যে পশু হাটসহ অন্যান্য হাটবাজার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে করোনা ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে। 

এদিকে মেহেরপুর সদর,গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা বেশ কিছু গ্রাম ঘেঁষে ভারতীয়দের জমি থাকায় বিএসএফ সদস্যদের কাছে ভারতীয়রা তাদের পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে দুই দেশের কৃষকরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মিলেমিশে চাষাবাদ করছেন। যার ফলে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কিত সীমান্ত জেলার মানুষজন। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন,সম্প্রতি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে উপজেলার হিন্দা গ্রামে করোনা রোগীদের খোঁজ খবর নিতে বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় করোনা আক্রান্ত রোগী গাংনীতে ওষুধ কিনতে দোকানে গেছে। করোনা রোগী যদি বাজারে যায় তাহলে করোনা সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খাঁন বলেন,সকলের সাথে সমন্বয় করে করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে প্রশাসন। সীমান্তে বিজিবিও টহল জোরদার করেছে। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

জাগরণ/এমআর