• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২১, ০৫:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০২১, ০৫:০৪ পিএম

শখের গরু ‘বুলেট’ পালনে ভাগ্যবদল 

শখের গরু ‘বুলেট’ পালনে ভাগ্যবদল 

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ধবধবে সাদা গরু। আর শিংয়ে লাল রঙ করা হয়েছে। ৭ বছর আগে শখের বসে গরুটি কিনে আনেন রাশেদ সম্রাট। কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে বিক্রিও করার আগ্রহ নেই তার। শখের বসে লালন পালন শুরু করেন পাগলা গরুটি। যার নাম দিয়েছেন ‘বুলেট’। নামের সাথে কাজেরও রয়েছে বেশ মিল। গরু দৌড় প্রতিযোগিতায় দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও সাভার থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শতাধিক পুরস্কার জিতেছে বুলেট। বাড়িতে লোকজন ভীড় করে বুলেট দেখতে। 

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঘোষাইল গ্রামের রাশেদ সম্রাট। তিনি জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডের মেম্বারও। কিন্তু ছোটবেলা থেকে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কাউকে পরিচয় দিতে গেলে উৎসাহ নিয়েই বলেন তিনি একজন ‘কৃষক’। বাবা একজন কৃষক ছিলেন। তাই তিনিও কৃষি কাজের পাশাপাশি গরু পালনও শুরু করেন বছর সাতেক আগে। কিন্তু হঠাৎ করে মনে ধরে বসে পাগলা গরু পালন করার শখ। তখন থেকে একেবারে শখের বসেই শুরু করেন পাগলা গরু পালন। মানিকগঞ্জ জেলার হারিরাপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ থেকে ৭ বছর আগে গরুটি ক্রয় করেন তিনি। পরম যত্ম আর আদরে গরুটি লালন পালন করছেন তিনি। গরুটি দিয়ে বিভিন্ন সময় গরু দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শতাধিক পুরস্কার জিতেছেন। গরুটির জন্য নিমাণ করেছেন নতুন একটি ঘর। সে ঘরে গরুটির জন্য আছে ফ্যান, লাইট ও আরাম আয়েশের জন্য সবরকমের ব্যবস্থা। কোনো কিছুরই কমতি নেই। আর গরুর জন্য দু’জন লোকও আছে রাখা। সারদিন তারা গরুটির যত্ম নিতে ব্যস্ত থাকেন। বুলেটকে বাড়িতে আনার পর সংসার জীবনেও এসেছে সুখ। 

বুলেটের মালিক রাশেদ সম্রাট জানান, ৭ বছর আগে গরুটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শতাধিক বিজয়ী পুরস্কার জিতেছে। বুলেটকে বাড়িতে আনার পর থেকে সংসার জীবনেও এসেছে সুখ। এছাড়া সব ক্ষেত্রে তিনি এখন সফল। বুলেট কে দেখতে অনেকেই তার বাড়িতে আসেন। কোরবানীতে বিক্রিও করার কোনো আগ্রহ নেই। ৫ লাখ টাকা দরদামও হচ্ছে। তার দাবি, ভালবাসা টাকায় কেনা যায় না। তাই বিক্রিও করবো না। 

ঘোষাইল গ্রামের কবীর হোসেন বলেন, বুলেট নামে গরুটিকে সবাই চিনে। রাশেদ সম্রাট মানুষ হিসেবে যেমন ই হোক না কেন বুলেটের জন্য আমাদের ইউনিয়ন দিন দিন দূর-দূরান্তে পরিচিত লাভ করছে। বুলেটকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বহু পুরস্কারও জিতেছি।

একই গ্রামের সুজন হোসেন বলেন, বুলেটকে মূলত শখের বসে লালন পালন করছে রাশেদ সম্রাট। কিছুদিন আগেও প্রাণিসম্পদ প্রদশনীতে পুরস্কার পেয়েছে। যা পুরস্কার দেয় তা আমাদের খরচও উঠে না। কিন্তু আনন্দের জন্য বিভিন্ন মাঠে আমরা বুলেটকে নিয়ে যাই।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কমকতা ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, যারা গাভী পালন করে তাদেরকে বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে রাশেদ সম্রাটের বুলেট নামের গরুটি এই বছর প্রাণিসম্পদ প্রদশনীতে ২য় পুরস্কার পেয়েছে।