• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ১০:০৮ এএম

ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন রায়ের অপেক্ষায় ইসি

ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন রায়ের অপেক্ষায় ইসি

 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) - এর  উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উচ্চ আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিএনসিসির উপ-নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করবে ইসি।এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। 

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএনসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন বিচারপতি গোবিন্দচন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি  মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।  

এ ব্যাপারে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জাগরণকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের কপি এখনও হাতে পৌঁছেনি। রায়ের কপি পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের পাশাপাশি ডিএনসিসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কমিশন। 

সীমানা জটিলতা নিয়ে ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট গত ১৬ জানুয়ারি (বুধবার) খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি গোবিন্দচন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটকারির আইনজীবীরা অনুপস্থিত থাকায় নির্বাচনে স্থগিতাদেশ ও রুল খারিজ করে দেন। এর ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনও আইনি বাধা রইলো না। 

২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসি  নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর  আহমেদের হাইকোর্টের বেঞ্চ।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নির্বাচনের আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ডিএনসিসির মেয়র আনিসুর হক লন্ডনে মারা যান। পরে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ইসি ডিএনসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি নির্বাচনের কথা ছিল।

আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে কমিশন। এ জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। 

এ ব্যাপারে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, উপজেলা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উভয় নির্বাচন নিয়েই ইসি প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে মার্চ মাস থেকে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাচন আরও একধাপ বাড়তে পারে।

ইসি সচিব জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলাগুলোয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। আর এ ক্ষেত্রে সদর উপজেলার সব কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিষয়ে গত ১৪ জানুয়ারি ইসির ৪২তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি। এবারই প্রথম উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনের পুরোটাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইভিএমে ভোটের হার ছিল তুলনামূলক ভাবে কম। সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়ে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৪ সালে উপজলো পরিষদ নির্বাচন আইনত নির্দলীয় হলেও আইন সংশোধনের ফলে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ায় ভোটে অংশ নেয়
বিএনপি। চতুর্থ  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম তিন পর্বে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের মধ্যে সংখ্যায় বিএনপি এগিয়ে ছিল। পরের তিন পর্বে তাদের ছাড়িয়ে যায় আওয়ামী লীগ। 

আইন অনুযায়ী, কোনও উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দশম সংসদ নির্বাচনের পরপরেই অনুষ্ঠিত হয়। এবারও ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ১৯ জানুয়ারি উপজলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস র্পযন্ত মোট ছয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

হাশা/এসএমএম