মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বহু বিবাহ ও শারীরিক নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে স্ত্রী ছৈজান নেছা (৪২)। শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় স্বামী রঞ্জিত (৪৭) কে প্রথমে গাংনী ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী ছৈজানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায়, একের পর এক বিয়ে ও স্ত্রীদেরকে ভরন পোষণ না দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো স্বামী রঞ্জিত। শুক্রবার রাতে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ছৈজান ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গ কেটে দেয়। রঞ্জিতের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক রঞ্জিতকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। পরে থানায় খবর দিলে স্ত্রী ছৈজানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
ছৈজান জানায়, তিনি রঞ্জিতের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী একই গ্রামের কমেলা খাতুন। নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে সে। স্বামীর সংসারে এসেই দেখা যায় স্বতীণ রয়েছে। এর কিছু দিন পর কুষ্টিয়া থেকে লিপি নামের আরো একজন স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসে। তিন স্ত্রী আর চার সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনপাত করতে হয় সকলকে। এর উপর আবার শারীরিক নির্যাতন। সম্প্রতি এ উপজেলার গোয়ালগ্রাম থেকে মুনি নামের আরো একজনকে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করছিল। শুক্রবার রাতে বাড়ি আসলে নানা কৌশলে পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়া হয়।
গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। অসুস্থ রঞ্জিতকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি স্ত্রী ছৈজানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রঞ্জিতের পরিবার মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসসি/এসজেড