• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম

হবিগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যান চলাচল

হবিগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যান চলাচল


হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ‘তিতখাই-চাঁনপুর’ ভায়া মির্জাপুর সড়কের আর.সি.সি বক্স কালভার্ট এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে আধা-কাঁচা রাস্তা। বক্স কালভার্টের একপাশের সড়ক সংযোগ স্থলে মাটি ভরাট না করায় যোগাযোগে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হওয়ায় কালভার্ট এবং রাস্তার সংযোগ স্থলে বাঁশের সাঁকোতেই পারাপার হচ্ছে মাঝারি ও ছোট আকারের বিভিন্ন যানবাহন। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ওই গ্রামবাসী।

সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার  প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কর্তৃক সদর উপজেলার এ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয় ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর। পরে আর.সি.সি বক্স কালভার্ট নির্মিত হলেও দীর্ঘ ৫ বছরেও সংযোগ স্থলের এক পাশের মাটি ভরাট কাজ এখনও অসমাপ্ত রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করছেন। এমনকি সিএনজি (অটোরিকশা), ইজিবাইকসহ ছোট এবং মাঝারি আকারের যাত্রীবাহী যানচলাচল করে। অথচ ওই বক্স কালভার্ট থেকে রাস্তার সংযোগস্থলের একপ্রান্তে প্রায় ২০ ফুট দূরত্বে মাটি ভরাট না থাকায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহৃত হচ্ছে। সাঁকোটিতে অল্প কিছু নড়বড়ে খুঁটি থাকায় যাত্রীবাহী যানবাহন গুলোকে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল  করতে হচ্ছে ।   

ওই এলাকার বাসিন্দা শামসুল মিয়া জানান, জীবিকার নির্বাহে প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম হতে স্কুল, কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা পেশার মানুষজনকে  হবিগঞ্জ শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শহরে দ্রুত সময়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি দিয়ে টমটম, ভ্যানগাড়ি, সিএনজি চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার কিছু অংশ আধা-কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিপদজনক অবস্থায় কালভার্ট সংলগ্ন বাঁশের সাঁকোটি। বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে কালভার্ট পারাপারের সময়ে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিপদজনক যেনেও গ্রামবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে সাঁকোটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এনামুল হক নামে অপর ব্যক্তি জানান, গ্রামবাসীর এমন সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি হস্তক্ষেপের পাশাপাশি এলজিইডি এর সঠিক পদক্ষেপ দ্রুত প্রয়োজন। অন্যথায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।'

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দার বলেন, বিষয়টি আমার ঠিক মনে নেই। তবে যেহেতু আপনে বলছেন আমি জায়গাটি পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করব।

টিএফ