• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২১, ০৮:১০ পিএম

র‌্যাবের অস্ত্র ছিনিয়ে হামলা, আহত ৮ 

র‌্যাবের অস্ত্র ছিনিয়ে হামলা, আহত ৮ 

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে মাদক চোরাকারবারিদের দুই দফা হামলায় তিন র‌্যাব সদস্য সহ আটজন আহত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে চোরাকারবারিরা।

এ সময় হামলাকারিরা র‍্যাব সদস্যদের ব্যবহৃত সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।  আহতদের শ্যামনগর ও খুলনায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  একজন র‍্যাব সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।      

গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে কৈখালি ও  রমজাননগর সংযোগ ব্রীজের কাছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাব সদস্য বিশ্বজিৎ ও আসলাম এবং পাঁচজন সোর্স মো. আব্দুল্লাহ, রবিউল ইসলাম, আব্দুল হামিদ লাল্টু, মনির ও সাদেক হোসেন। র‌্যাব এ ঘটনায় রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ও তার চাচাতো ভাই একই ইউনিয়নের মেম্বর জাহাঙ্গীর সহ কয়েকজনকে আটক করেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যারে একজন সোর্স ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে একটি প্রাইভেটকার ও ৫টি মোটরসাইকেলসহ র‌্যাব ও কয়েকজন সোর্স কৈখালি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল। মাদক কেনাবেচার ভান করে তা জব্দ করার সময় চোরাচালানিরা তাদের ওপর হামলা করে। তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে কৈখালির একটি ঘরে আটকে রাখে। এসময় তাদের কাছে থাকা একটি  অস্ত্রও ছিনিয়ে নেয় চোরাকারবারিরা। 

খবর পেয়ে নদীর অপর পাড়ে রমজাননগরে থাকা র‌্যাবের কয়েকজন সোর্স ও সদস্য কৈখালি থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। রমজাননগরে আসার পরপরই তাদের পথরোধ করে আবারও হামলা করে আরেকদল চোরাকারবারি। এ সময় তাদের মারধর করে দ্বিতীয় দফায় অন্য একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।  খবর পেয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরাকারবারিরা তাদের ছেড়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাব এ ঘটনায় জড়িত  সন্দেহে রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ও তার ভাই একই ইউনিয়নের সদস্য জাহাঙ্গীর সহ ৫ জনকে আটক করেছে।

র‍্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর শরিফ বলেন, র‍্যাবের একটি টহল দল রাতে  ওই এলাকায় অভিযানে গেলে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পরে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে এনেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পে আনা হয়েছে।

জাগরণ/এমআর