বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বগুড়া- নওগাঁ সড়কে ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পথচারীরা। ৪ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সড়কের দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্য পর পর তিনটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ জন এবং গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন।
সম্প্রতি সড়কের তিষিগাড়ি এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে রক্ষা করতে গিয়ে নওগাঁ-কিশোরগঞ্জগামী অপরুপা পরিবহনের একটি বাস সজোরে গাছের সাথে ধাক্কা লাগলে বাসের হেলপার সুমন প্রামাণিকের (২৭) শরীর থেকে মাথা বিচ্ছন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রবোজা গ্রামের মাজেদ প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
সড়কের বাজারদিঘী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য পুরাতন গাছ কাটার সময় তা মোটরসাইকেলের ওপর পড়লে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় আরোহী সুশান্ত কুমার সরকার (৪০)। নিহত সুশান্ত বগুড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিদর্শক ছিলেন।
এর আগে চৌমুহনীবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের খানা-খন্দকে ভটভটির চাকা পড়ে উল্টে যায়। এতে ভটভটি থেকে ছিটকে পড়লে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয় শরীফুল (২৩)। সে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাজাপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে।
দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান কলেজে কর্মরত প্রভাষক একাব্বর হোসেন বলেন, আমি প্রত্যেকদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজে আসি। সংস্কার কাজ চলায় সড়কের বিভিন্নস্থানে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সংস্কারাধীন সড়কে পানি না ছিটনোর ফলে প্রচুর ধুলা ওড়ে। এতে আমাদের অনেক দুর্ভোগ সহ্য করে ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হয়।
পথচারী এমরান হোসেন জানান, সড়ক মৃত্যকুপে পরিণত হয়েছে। সড়কে শৃংখলার অভাব অনেক। এমনি তো সংস্কার কাজ চলছে তার ওপর আবার সড়কের দুপাশে গাছ কাটা চলছে বেখেয়ালিভাবে।
পথচারীরা আরও জানান, সড়কের এ বিশৃঙ্খলা দেখার যেন কেহ নেই। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা।
টিএফ