• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০১৯, ০৯:১৩ এএম

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা
জরাজীর্ণ টিনশেডের নীচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা


যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। যে কোন মূহুর্তে পরিত্যক্ত ভবন ধ্বসে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।

১৯৪২ সালে উলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার সময় বর্তমান পরিত্যক্ত ভবনটি নির্মিত হয়। ২০১২ সালে পুরাতন ভবনটি উপজেলার শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তারপরও নতুন কোন বিকল্প ভবন তোলা হয় নাই। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির  শিশু-শিক্ষার্থীদের সেই পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস করতে হয় ঝড়-বৃষ্টি বর্ষা বাদলের মধ্যে।

শুধু তাই নয় পরিত্যক্ত ভবনে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় স্কুল মাঠের গাছ তলায় জরাজীর্ণ টিনশেডের নীচে ঠাঁই হলো তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। অন্য দুইটি ভবনের চারটি কক্ষের একটি অফিস কক্ষ এবং তিনটি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম।

এ বিষয়ে উলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১ জন শিক্ষক এবং প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী আছে। এ জন্য ১০টি শ্রেণি কক্ষের প্রয়োজন কিন্তু আছে মাত্র তিনটি। শ্রেণি কক্ষের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে। যে কোন মূহুর্তে পরিত্যক্ত ভবন ধ্বসে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। বারবার ভবনের জন্য তাগিদ দেওয়া সত্বেও শিক্ষা অফিস থেকে আশ্বাস পাওয়া গেলেও ৬ বছরে ভবনের নতুন মুখ দেখা মেলেনি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর মেধা তালিকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা স্থান করে নেয়। এমন প্রতিকুল পরিবেশ থাকা সত্বেও ২০১৭ সালে চারজন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে মেধা তালিকায় নাম লিখিয়েছিল।

শার্শা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার উলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। প্রতি বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পরিত্যক্ত ভবনের ছবিসহ বারবার আবেদন করার পরও কেন নতুন ভবনের বরাদ্দ আসছে না তা আমাদের বোধগম্য নহে।

টিএফ